পতিতার উপপতি

পতিতার উপপতির যে সব গুণ থাকবে
১। সাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া দরকার।
২। সদবুদ্ধি ও বিবেক থাকবে।
৩। সৎব্যবহার।
৪। সরলতা।
৫। পরস্পরের প্রতি কৃতজ্ঞতার ব্যবহার।
৬। দূরদর্শিতা।
৭। কাজের প্রতি ঔদাসীন্য।
৮। স্থান কাল অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা।
৯। আইন মান্য করে চলা।
১০। দারিদ্র্যে মুহ্যমানতা।
১১। যথাসময়ে হাস্য করা।
১২। পরনিন্দা ও জনশ্রুতি বৃদ্ধি না করা।
১৩। দুর্নাম থেকে আত্নরক্ষার শক্তি।
১৪। রোষ, হিংসা, আত্নগর্ব থাকা উচিত।
১৫। চপলতা থেকে মুক্ত ভাব।
১৬। যার সঙ্গে দেখা হবে তাকে অভিবাদন।
১৭। কাম ক্রীড়ায় বৈচিত্র্য।
১৮। মনে সব সময় স্ফুর্তি থাকা দরকার।
১৯। অন্তঃকরণ হবে উদার।
২০। মুক্ত হসে- খরচ করবে।
২১। পতিতার মন জুগিয়ে চলবে।
২২। শৃঙ্গার দক্ষতা থাকবে।
বেশ্যারা যেসব পুরুষকে পছন্দ করে না
১। যক্ষ্মা বা কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত লোক।
২। যে লোক মেহ বা প্রমেহ রোগে ভুগছে।
৩। যে পুরুষের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।
৪। যে লোক বহু নারীর সঙ্গে মিলন করে।
৫ । যে লোক তার স্ত্রীকে খুব ভালবাসে।
৬। যে লোক কটুভাষী, দয়ামায়া শূন্য।
৭। যে সাধু লোক বলে মোটেই গণ্য নয়।
৮। যে চুরি কার্য্য করে।
৯। যে আত্নরক্ষার জন্যে মিথ্যা কথা বলে।
১০। যে টাকার জন্যে সব কিছু করতে পারে।
১১। যে প্রেমের জন্যে বা গুপ্ত প্রেমের জন্যে লজ্জিত বা ভীত হয় না।
১২। যে লোক সুরত কার্যে অক্ষম।
১৩। যে পুরুষ পয়সা খরচ করতে কুণ্ঠিত।
পত্নীরূপে বেশ্যা
যে বেশ্যা অনেকদিন ধরে কোন একজন পুরুষের উপপত্নীরূপে বাস করে, তার সঙ্গে ধর্ম পত্নীর মত ঘর করা ও সহবাস করা যায়।
পত্নীরূপে বেশ্যার কর্তব্য
১। নায়কের মর্দন চাওয়া। নিজেও চুম্বন, আলিঙ্গন, দংশন প্রভৃতি করতে পারে।
২। ধর্ম কর্মে মন দেওয়া।
৩। নিত্য নূতন কামকেলি।
৪। নিজে অর্থ না চাওয়া। দাসদাসী বা কোন ধাত্রীকে দিয়ে সাংসারিক প্রয়োজন জানাবে।
৫। মর্য্যাদা দিয়ে নায়ককে সন্থষ্ট রাখতে চেষ্টা করবে।
৬। নায়ক ক্রুদ্ধ হলে হাসবে। যথাসাধ্য তাকে সন্থষ্ট করবার চেষ্টা করবে।
৭। নায়কের মনে কোন ব্যথা দেবে না।
৮। কখনও কটু কথা বলবে না। নিজের স্বামীর মত তাকে প্রাণ দিয়ে ভালবাববে।
৯। অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হবে না। তাতে নায়কের আগ্রহ কমে যাবে।
১০। নায়কের বিরুদ্ধে কেউ নিন্দা করলে তার প্রতিবাদ করবে-না হয় তা শুনবে না। এতে নায়কের অতি প্রিয় হয়ে উঠবে।
১১। নায়কের অসুখে সেবা করবে।
১২। সন্তানলাভের আকাঙ্খা থাকবে। সন্তান একটি কি দু’টি হরে ভাল হয়। এর বেশী হওয়া উচিত নয়।
বিতৃষ্ণাযুক্ত উপপতির লক্ষণ
যখন কোন উপপতির কোনও বেশ্যার উপরে বিতৃষ্ণা আসে তখন যে সব লক্ষণ দেখা যায়-তা এবারে বলা হচ্ছে-
১। উপপত্নীকে দেয় টাকা সম্পূর্ণ দেয় না।
২। যাদের সঙ্গে তার হিংসা দ্বেষ থাকে, তাদের সঙ্গে সে হেসে কথা বলে।
৩। উপপত্নীর মতের বিরুদ্ধে কাজ করে। অন্য বারাঙ্গনার নিকট যাওয়া আসা করে।
৪। উপপতি তার প্রতিশ্রুতি রাখে না।
৫। নিজের মনোভাব উপপতীকে গোপন করে। এই নায়িকার প্রতি ভালবাসার বন্ধন কমে যায়।
৬। উপপতীকে সর্বদা বিদ্রুপ করে। যাতে সে রেগে যায়।
৭। প্রায়ই তাকে ছেড়ে ছেড়ে থাকতে চায়।
৮। উপপত্নীর পূর্বের সব বিরুদ্ধ-চারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে কথাবার্তা বলে।
৯। তাকে ঘৃণার ভাব দেখায়।
এ সকল লক্ষণ নায়কের মধ্যে দেখা গেলে, বুঝতে হবে নায়ক তাকে ত্যাগ করবে।
উপপত্নীর নায়ক ত্যাগের চিহ্ন
বেশ্যারা যখন উপপতিকে ছেড়ে দেবার চেষ্টা করবে এবং যে সব চিহ্ন দেখাবে, তা হ’লো-
১। উপপতি যা পছন্দ করে না এমন কাজ উপপতী করবে।
২। উপপতিকে কেবল ব্যথা দেবে। অপমানসূচক কার্যকলাপও করতে পারে।
৩। এমন লোকের সঙ্গে কথাবার্তা বলবে-যাদের সঙ্গে উপপতির সদ্ভাব নেই।
৪। তার নিন্দা করবে-মর্যাদাহীন করবে।
৫। তাকে প্রত্যেক বিষয় তিরষ্কার করবে।
৬। অন্য বেশ্যাদের উপপতির প্রশংসা করবে, নিজের উপপতির কাছে।
৭। উপপতির যত দোষ অবাধে অন্যের কাছে জানাবে ও তার প্রচণ্ড নিন্দা করবে।
৮। উপপতি ডাকলে তার কাছে আসবে না-তাড়াতাড়ি সাড়া দেবে না।
৯। রতি কার্য করতে চাইবে না।
১০। উপপতি চুম্বন করতে চাইলে মুখ ফেরাবে। ঘৃণার ভাব দেখাবে।
১১। আলিঙ্গনে বাধা দেবে। দূরে দূরে থাকবে।
১২। রতি কাজের জন্য জোরাজুরি করলে ঊরু দুটি চেপে রাখবে।
১৩। উপপতির কোন কথা গ্রাহ্য করবে না। তার যা ইচ্ছা তাই করবে।
১৪। সুরতের সময় উপপতি ঘুমের ভান করবে।
১৫। সুরতকালে উপপতি ক্লান্ত হ’য়ে পড়লে তাকে উপহাস করবে।
১৬। দিনের বেলায় উপপতি সঙ্গম করতে চাইলে, সে অন্যত্র চলে যাবে।
১৭। উপপতির সামনে অন্য পুরুষের সঙ্গে প্রেমালাপণ করবে।
১৮। শৃঙ্গারের শেষে বীর্য স্খলনের সময়ে, উপপতিকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেবে।
উপপতি এমন সব কার্যকলাপ করলে বুঝবে যে, সে তাকে আর চায় না।

পতিতাদের ইতিবৃত্ত

পতিতা অর্থাৎ বেশ্যারা। এরা হলো সেই সমপ্রদায়ভুক্ত নারী যারা পুরুষকে যৌন সুখ ভোগ করতে নিজেদের দেহ দিয়ে আপনাদের জীবিকা অর্জন করে।
অবশ্য তারা যে কোনও পুরুষকে দেহ দানের বিনিময়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জন করে, তা নয়। তারাও মানুষ- তাদেরও মন আছে, অভিরুচি আছে, ভাল-মন্দ বিবেচনা শক্তি।
তাই তাদের বিষয়ে অনেক কিছু সাধারণ মানুষের শিক্ষা করা উচিত। অনেক সময় যাদের সঙ্গে যৌন মিলন করতে পারে হাতে তাদের পয়সাও আছে, তবু তারা সেই লোককে ফেরৎ দেয়। কারণ সেই নারী তাকে পছন্দ করে না। যৌন মিলনে কিছুটা মনের মিলেরও প্রয়োজন হয়।
বেশ্যারা প্রয়োজনমত নিজেকে সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও অলঙ্কারে ভূষিতা রাখে। যেন এক প্রকার পণ্য দ্রব্য। তাই তার বাড়ি এমন থাকবে যেন বাইরের লোক তাকে দেখতে পায় এবং সেও বাইরের লোককে দেখতে পায়। তার আরও জানা উচিত, সৌন্দর্য্য দিয়ে পুরুষকে জয় করতে পারলে তবে তার অর্থ মিলবে।
বেশ্যাদেরও আবার ঘটক বা দূত থাকে। তারা অন্য লোককে তার গুণ পণ্য বলে তাকে আকর্ষন করে নিয়ে আসে।

বেশ্যা যাদের খুশী রাখবে
নিম্নলিখিত লোকদের বেশ্যাদের সর্বদা খুশী রাখা উচিত। তা না হলে ব্যবসা চলে না। তা হলো-
(১) নগরের নগরপাল ও পুলিশের কর্তা।
(২) দেশের কোনও বিচারক বা বিখ্যাত আইনবিদ।
(৩) কোনও গণৎকার বা জ্যোতিষ।
(৪) কোনও ব্যায়ামবীর লোক।
(৫) কোনও সতীর্থ বা সমব্যবসায়ী।
(৬) কোনও শিল্পপতি।
(৭) কোনও পীঠমর্দ বা বিট বা বিদূষিকা, সুগন্ধি দ্রব্য বিক্রেতা বা মদ্য বিক্রেতা, কোন রজক বা নাপিত।
বাৎস্যায়ন বলেন উপরোক্ত লোকদের উপরে বেশ্যার কোন যৌন আকর্ষন থাকা উচিত নয়। তাদের কেবল অর্থ দ্বারা বশীভূত করে ব্যবসায়ে উন্নতি করবে।

বেশ্যারা যাদের পছন্দ করে
বেশ্যা কোন্‌ কোন্‌ ধরনের ব্যক্তিকে মনে প্রাণে কামনা করবে তাও বাৎস্যায়ন বলে গেছেন।
তারা হলো-
১। কোনও স্বাধীন ধনশালী লোক।
২। রাজ্যের কোন উচ্চপদস্থ কর্মচারী।
৩। যে ব্যক্তি অল্পদিনে প্রচুর সম্পত্তি বা টাকাকড়ি পেয়েছে।
৪। বেশ্যার সমব্যবসায়ী ব্যক্তির সঙ্গে যে সম্প্রতি কলহ করেছে।
৫। যে লোকের স্থায়ী নিশ্চিত উপার্জন আছে।
৬। যে কুৎসিৎ হলেও নিজেকে সুন্দর বলে মনে করে।
৬। যে আত্নপ্রশংসায় খুব বিরত।
৮। কোনও রতি অক্ষম লোক- সে নিজে মনে করে যে সে খুব রতি পারদর্শী।
৯। যে লোক আত্নপ্রশংসা ভালবাসে।
১০। যে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাস্ত করতে খুবই ইচ্ছুক।
১১। খুব দানশীল ব্যক্তি।
১২। যে লোক রাজা, ধনী বা সম্ভ্রান্ত লোকের সঙ্গে দিন যাপন করে।
১৩। যে নিজ ভাগ্যকে খুব বিশ্বাস করে।
১৪। অপরিমিত ব্যয়শীল লো্‌ক। টাকা খরচ করতে যার দরদ নাই।
১৫। যে লোক পিতামাতার অবাধ্য।
১৬। কোন ধনীর একমাত্র সন্তান।
১৭। নিঃসন্তান ধনী ব্যক্তি।
১৮। যে কামুক লোক তার কামক্রিয়া গোপন রাখতে পারে।
১৯। যে সন্ন্যাসী গোপনে কামক্রিয়া চরিতার্থ করে।
২০। কোনও সাহসী যোদ্ধা।
২১। কোন চিকিৎসক বা বৈদ্য।
২২। বহু দিনের পরিচিত লোক।

বেশ্যার পছন্দমত যুবকের গুণাবলী
বাৎস্যায়ন বলেছেন ভালবাসা, সুখ্যাতি ও ধন অর্জন করতে হলে বেশ্যার প্রয়োজন একজন বিলাসী যুবক। তার কি কি গুণ থাকবে, তা হলা হচ্ছেঃ-
১। সে উচ্চবংশীয় হবে।
২। তর্কশাস্ত্রে বেশ বুৎপন্ন হবে।
৩। রাজনীতিতে পারদর্শী হবে।
৪। কবি বা শিল্পী হবে।
৫। বেশ গল্প বলতে পারদর্শী হবে।
৬। সু-বক্তা ও বুদ্ধিমান লোক।
৭। বিভিন্ন কথায় যারা পাণ্ডিত্য দেখায়।
৮। মনে উচ্চাশা থাকবে।
৯। প্রাচীন লোকদের যারা শ্রদ্ধা করবে।
১০। প্রচুর গুণ থাকবে।
১১। সৎসাহসী হবে।
১২। একনিষ্ঠ প্রেমিক হবে।
১৩। বন্ধুদের প্রতি সৌহার্দ্যশীল হবে।
১৪। নানাবিধ বাকবিতণ্ডায় কুশলী হবে।
১৫। শরীর নীরোগ হবে।
১৬। কামশক্তি পরায়ণ হবে।
১৭। মদ্যপানদোষ থাকবে না।
১৮। সব নারীর প্রতি স্নেহ ভালবাসা দেখাবে।
১৯। স্বাধীনচেতা লোক হবে।
২০। মনে সন্দেহ থাকবে না।

বেশ্যার গুণাবলী
বেশ্যারও কতকগুলি বিশেষ গুণ থাকা একান্ত প্রয়োজন। তা হলো-
১। সে সুন্দরী হবে।
২। সে যুবতী হবে।
৩। দেহে সুলক্ষণ যুক্ত চিহ্ন থাকবে।
৪। মধুরভাষিণী হবে। সলজ্জ ভাব দেখাবে।
৫। অর্থের কথা চিন্তা না করে নিজের স্বামীর মত উপপতিকে ভালবাসে, এমন ভাব দেখাবে।
৬। দু-একটি মাত্র উপপতির সঙ্গে রতি মিলন করবে।
৭। স্থির চিন্তা করবে।
৮। উপপতির সঙ্গে প্রবঞ্চনা করবে না। ভাল ব্যবহার করা উচিত।
৯। কৃপণী হবে না। এতে উপপতি সরে পড়তে পারে।
১০। সাধারণ সমিতি বা যাত্রায় যোগদান করবে। এতে চাহিদা বাড়বে সন্দেহ নাই।
১১। নানা শিল্পের অনুরাগিণী হবে।
১২। সুকণ্ঠী গায়িকা হলে আরও ভাল হয়।

নারী পতিতা হয় কেন
১। অর্থাভাবে বা দারিদ্র্যতাবশতঃ অনেক সময়ে মেয়েরা পতিতা বৃত্তি গ্রহণ করে।
২। সংসারের অনাদর বা অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে পতিতা বৃত্তি গ্রহণ করে।
৩। স্বামীর অনাদর অত্যাচারও এ পথে যাবার মস্ত বড় একটি কারণ।
৪। অতি কামুকতা। যে স্বামীর দ্বারা পূর্ণ তৃপ্তি পায় না।
৫। একাধিক পুরুষে আকর্ষণ।
৬। অতিরিক্ত বিলাসের প্রতি আকর্ষণ।
৭। বৈধব্য।
৮। অন্যের প্ররোচনায় প্রভাবিত হওয়া।
৯। একজনকে ভালবেসে গৃহত্যাগ, পরে তার দ্বারা প্রত্যাখ্যান।
১০। সামপ্রদায়িক দাঙ্গা বা যুদ্ধের জন্য কুলত্যাগিনী।
১১। আজীবন কুমারী থাকা। পরে অন্য পথে গমন।
১২। গ্রামাদি থেকে সংগৃহিতা নারী।
১৩। গোপন প্রেম ও স্বামী কর্তৃক ধৃত ও স্ত্রী ত্যাগ।
১৪। স্ত্রীর সংসারে বিতৃষ্ণা-স্বামী হয়ত আজীবন চরিত্রহীন।
১৫। দারিদ্রতার জন্য কুমারী কন্যা বা স্ত্রীকে বিক্রয়।

পতিতাদের প্রকারভেদ
১। একমাত্র উপপিতিতে আকৃষ্ট।
২। নাচ গান জানা কলারসিক পতিতা- দেহমিলন বেশি চায় না। নির্দিষ্ট একজন নায়ককে রাখে।
৩। বাড়িউলি বা কোনও নারীর অধীনে বাস করা পতিতা।
৪। কোন রাজ অনুগৃহীত বিশেষ ধনী পতিতা, সে উপপত্নীর মত পৃথক প্রাসাদে বাস করে।

যোনি পথে প্রদাহ



এটি একটি যৌনবাহিত রোগ৷ স্বামী-স্ত্রী মিলনের ফলে অথবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অথবা অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতার কারণে স্ত্রীলোকের যোনিপথে প্রদাহ হয়ে থাকে৷

কারণ
যোনিপথে দুটি কারণে প্রদাহ হতে পারে

১. অসংক্রমিত প্রদাহ : যৌনিপথের স্রাব পরীক্ষা করলে কোনও রকম জীবাণু পাওয়া যায় না৷ স্বামী-স্ত্রীর মিলন ছাড়া এ রোগ এক দেহ হতে অন্য দেহে সংক্রমিত হয় না৷

এ ধরনের প্রদাহের উত্‌স হচ্ছে

* যৌনিপথের অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা
* চর্মরোগ
* মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ
* পুষ্টির অভাবে
* গর্ভাবস্থায়
* অপরিষ্কার এবং আটসাট পায়জামা বা প্যান্ট ব্যবহার করলে
* জণ্মনিয়ন্ত্রণে যৌনিপথে কোনও জেলি বা কপারটি ব্যবহার করলে

২. সংক্রমিত প্রদাহ : যে প্রদাহ এক দেহ হতে অন্য দেহে সংক্রমিত হয় তাকে সংক্রমিত প্রদাহ বলে৷ এ প্রদাহকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়৷

* নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি৷
* নির্দিষ্ট ছত্রাক দ্বারা : ট্রাইকোমোনাল, মনিলিয়াল ইত্যাদি৷

লক্ষণ

* স্বামী সহবাসে যোনিপথে জ্বালা ও ব্যথা হতে পারে৷
* প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া থাকতে পারে৷
* জ্বর থাকতে পারে৷
* যোনিপথে দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা সাদা স্রাব থাকে৷
* যোনিপথে ফোলা ও লাল দেখা যেতে পারে৷
* যোনিপথের স্রাব পরীক্ষা করলে নির্দিষ্ট জীবাণু পাওয়া যাবে৷

চিকিত্‌সা (Treatment)

* দ্রুত চিকিত্‌সকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে৷ অন্যথায় পরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে৷
* প্রতিরোধ
* রোগীকে ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে৷
* পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে৷
* রোগীকে প্রচুর পানি খেতে হবে৷
* বিশ্রাম নিতে হবে৷
* রোগমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত স্বামী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা স্বামী সহবাসের সময় স্বামীকে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷
* রোগীর কাপড় চোপড় যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে সে বিষয়ে রোগীকে সতর্ক থাকতে হবে৷

নারীর হাবভাব পরীক্ষা

নারীদের মধ্যে অনেক রকম নারী দেখতে পাওয়া যায়। কতকগুলি নারী আছে যারা মনের ভাব গোপন করে রাখতে পারে। তারা হয়ত গোপনে পরপুরুষকে মনে মনে ভালবাসে, মুখে কিন্তু প্রকাশ কখনও করে না।
আর কতকগুলি নারী আছে যারা ইংগিত দেখলেই রেগে ওঠে-গালাগালি করে। তাদের এড়িয়ে চলতে হবে। তবে যদি ঐ নারী একদিন গালাগালি দিয়ে পরে নীরব থাকে, তখন আর একবার চেষ্টা করে দেখা উচিত। তখন যদি ছুতা করে থাকে ত বুঝতে হবে, তার মনে কামের বীজ বপন হয়েছে কি না।
সাধারণতঃ কোন্‌ কোন্‌ নারী নতুন প্রেমিকের কুক্ষিগত খুব সহজে হয়?
(১) যে নারী এর আগে অনেক কাম চিহ্ন প্রকাশ করেছে।
(২) যে নারী প্রেমিককে নির্জনে তার স্তন খুলে দেখায়।
(৩) যে নারী পাশে শুয়ে কোন পুরুষের অঙ্গ মর্দন করে।
(৪) অঙ্গমর্দন করতে করতে যে নারী মাঝে মাঝে বেশ উত্তেজিত হ’য়ে উঠে।
(৫) পুরুষ কর্তৃক অঙ্গমর্দনে যে নারী বাধা দেয় না।
(৬) যে নারী পাশে শুয়ে ঊরুদেশ টিপলে কোনও রকম লজ্জা অনুভব করে না। যে ঘুমানোর ভাব করে চুপ করে পড়ে থাকে।
এই সব হতে হতে একটু এগালেই আপনা থেকেই নারী আলিঙ্গনের ইচ্ছা প্রকাশ করে।
অভিজাত নারীদের কাম ইচ্ছা পূরণ
অভিজাত রাজা জমিদারদের বাড়িতে একাধিক কর্ত্রী থাকে। তাদের সবাইকে রাজা বা জমিদার তুষ্ট করতে পারে না। তাছাড়া ধনী নারীদের মধ্যে কামের ভাব বেশি থাকে।
রাজবাড়ি বা জমিদার বাড়ির মেয়েরা বাড়ির অন্তঃপুরে! তাই গোপনে কাম ইচ্ছা পূর্ণ করার পথ খোঁজে।
রাজবাড়িতে বা ধনীগৃহে নানা ধরণের নারী থাকে বা আসে। – নাপতানী, মালিনী, দাসী বা দাসীর বান্ধবী, প্রজাদের মেয়ে ও বৌ ইত্যাদি।
এর কিন্তু আসলে এক একজন এক একটি নারীর গোপন দূতী হ’য়ে ওঠে।
দূতীকে অর্থের দ্বারা হাত করে তার দ্বারা বাইরের মনোমত পুরুষ বা দূতীর বর্ণনা করা পুরুষের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ স্থাপন করে।
এই যোগাযোগের ফল ভালই হয়। সাধারণত, ধনী সুন্দরী নারীদের দিকে গোপন আকর্ষণের সুযোগ পেলে তারা রাজী হয়।
দূর সম্পর্কের আত্নীয়, সুন্দর প্রজা, সুন্দর কর্মচারী, সুন্দর চাকর এদের সঙ্গেও অনেক সময় গোপন প্রণয় স্থাপিত হয়।
দূতীদের মাধ্যমে মনের ইচ্ছার আদান্তপ্রদান হয়। পরে গভীর রাতে খিড়কীর দরজা দিয়ে পারিয়ে গিয়ে বাইরেও কোন গোপন স্থানে মিলিত হয়ে পূর্ণ উদ্যমে যৌন বাসনার তৃপ্তি করে।
অনেক সময় দেখা যায় ধনী সুন্দরী পরনারীকে হাত করে অনুগৃহীত লোকেরা মোটা অর্থ উপার্জন করে থাকে। এই ত গেল নারীদের কথা।
রাজা ও জমিদারদের কাম ইচ্ছা পূরণ
পুরুষেরাও গোপনে প্রজা বা গরীব লোকদের সুন্দরী স্ত্রী বা কন্যাকে উপভোগ করে।
জমিদার তার কর্মচারী গোমস্তা বা চঞ্চুকীর দ্বারা খবর পাঠায়। মোটা অর্থের প্রলোভনেও অনেক প্রজা তার স্ত্রী বা মেয়েকে রাজার দ্বারা ভোগ করায়। অনেকে এই সূত্রে সাহায্যে রাজদরবারে প্রতিষ্ঠাও পায়।
আবার অনেক কর্মচারী রাজার এই প্রভাব জানলে তাকে সুন্দরী নারীর খবর এনে দেয়।
রাজা ছলে, বলে, কৌশলে এই কর্মচারীর সাহায্য নিয়ে সেই কন্যাকে হাত করে উপভোগ করে। পরে সেই কর্মচারীও এসব কথা প্রচার করার ভয় দেখিয়ে গোপনে উক্ত কন্যাকে ভোগ করে।
প্রাচীন আমলে তাই কামুক রাজাদের অধীনে প্রজারা সুন্দরী স্ত্রী বা মেয়ে নিয়ে বাস করতে খুব ভয় পেতো্‌।
প্রাচীনকালে নাকি এমনও নিয়ম ছিলো যে, কোন প্রজা বিয়ে করে এলে তার তরুণী বৌকে প্রথম রাত্রে রাজবাড়ীতে দিতে হতো।
ঐ তরুণীকে রাজা উপভোগ করবে।

৬.১০ সহাবাসের আগে ও পরে

সম্ভোগের আগে স্বামীর কর্তৃব্য
১। পতির কর্তব্য হলো, পত্নীকে প্রিয়তমা জ্ঞানে বা সত্যিকারের ধর্মপত্নী জ্ঞানে নিজের তৃপ্তির সঙ্গে সঙ্গে তারও দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তি বিধান করা। নিজের কামনা পরিতৃপ্ত করাই সম্ভোগের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।
২। কোন প্রকার বল প্রয়োগ করা আদৌ বাঞ্ছনীয় নয়। একথা মনে রাখতে হবে।
৩। চুম্বন, আলিঙ্গন, নিপীড়ন ইত্যাদি নানাভাবে স্ত্রীর মনে পূর্ণ কামাব জাগিয়ে তারপর তার সঙ্গে সহবাসে রত হওয়া প্রতিটি পুরুষের কর্তব্য।
৪। নারী ধীরে ধীরে আত্নসমর্পণ না করা পর্যন্ত তার সঙ্গে কখনও সহবাসে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়।
৫। নারী কখনও নিজের যৌন উত্তেজনাকে মুখে প্রকাশ করে না। তবে সেটা অনেকটা লক্ষণ দেখে বুঝে নিতে হয়।
৬। নারীর কর্তৃব্য সর্বদা পতির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসার ভাব ফুটিয়ে তোলা।
৭। পতিকে ঘৃণা করা, তাকে নানা কু-কথা ইত্যাদি বলা কখনই উচিত নয়। সহবাসের অনিচ্ছা থাকলে তা তাকে বুঝিয়ে বলা উচিত। ঘৃণা বা বিরক্তিসূচক তিরস্কার করা কখনও উচিত নয়। এতে পতির মনে দুঃখ ও বিরক্তি জাগতে পারে।
৮। নারীর কর্তৃব্য স্বামীর চুম্বন, দংশন ও আলিঙ্গনের প্রতিউত্তর দেওয়া।
৯। নারীর পূর্ণ কামভাব জাগলে পতিকে কৌশলে তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।
১০। নারীর উত্তেজনা ধীরে ধীরে আসে-আবার তা ধীরে ধীরে তৃপ্ত হয়। পুরুষের উত্তেজনা আসে অকস্মাৎ আবার তা অকস্মাৎ শেষ হয়। তাই নারীর পূর্ণ কামভাব না জাগিয়ে সঙ্গমে মিলিত হলে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পেতে পারে না। এরকম করা রিধিবিরুদ্ধৃ। এতে নারী পূর্ণ তৃপ্তি পায় না- এর জন্যে সে পর-পুরুষ পর্যন্ত গমন করতে পারে। দাম্পত্য জীবনে অনেক বিপর্যয় এর জন্যে আসতে পারে।
স্ত্রীকে দ্রুত তৃপ্তির উপায়
১। গালে ঠোঁটে ঘন ঘন চুম্বন করা।
২। স্ত্রীর ঊরুদেশ জোরে জোরে মৈথুনের আগে ঘর্ষণ করা।
৩। সম্ভোগের আগে যোনিদেশ, ভগাঙ্কুর কামাদ্রি আলতো ভাবে ঘর্ষণ করা।
৪। ভগাঙ্কুর মর্দন।
৫। মৈথুনকালে স্তন মর্দ্দন।
৬। সহাবাসের আগে যদি পুরুষাঙ্গের আগায় খুব সামান্য পরিমাণ কর্পূর লাগানো হয় তবে স্ত্রী দ্রুত তৃপ্তি লাভ ক’রে থাকে। তবে কর্পূর যেন বেশি না হয়, তাতে স্ত্রী যোনি ও পুরুষাঙ্গ জ্বলন অনুভূত হ’তে পারে।
সহবাসের কাল
১। মেয়েদের একটু ঘুমোবার পর রাত্রির দ্বিতীয় প্রহর শ্রেষ্ঠ মৈথুন সময়।
২। দিনের বেলা সহবাস নিষিদ্ধ।
৩। ভোরবেলা সহবাস শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর হ’তে পারে।
৪। গুরু ভোজনের পর সঙ্গে সঙ্গে সহবাস নিষিদ্ধ।
৫। ক্রুদ্ধ বা চিন্তিত মেজাজে স্ত্রী সহবাস উচিত নয়। প্রফুল্ল মনে সহবাস উচিত।
কোন ঋতু মৈথুনের পক্ষে কতটা উপযোগী তার বিচার করা হচ্ছে।
ক। বসন্তকাল-৯০%।
খ। শরৎকাল-৭০%।
গ। বর্ষাকাল-৫০%।
ঘ। হেমন্তকাল-৪০%।
ঙ। গ্রীষ্মকাল-৩০%।
চ। শীতকাল-২০%।
প্রহরণ বা মৃদু প্রহার
মৈথুনকালে মৃদু প্রহার-শৃঙ্গারও কামের একটি অঙ্গ হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে।
কথাটা শুনতে অনেকটা আশ্চার্য্য বোধ হয়, কিন্তু কামসূত্রে তার ব্যাখ্যা প্রদত্ত হয়েছে।
নারী কিছুটা উৎপীড়িত হ’তে চায় যৌন মিলনে-তাই মনোবিজ্ঞান স্বীকার করে যে, পুরুষ কিছুটা উৎপীড়ন করতে পারে নারীকে।
কিন্তু প্রহরণ ঠিক শৃঙ্গার নয়-কারণ মিলনের আগে এর প্রয়োজন নেই।
পূর্ণ মিলনের সময় আনন্দ বৃদ্ধির জন্যে পুরুষ ধীরে ধীরে নারী-দেহের কোমল অংশে মৃদু প্রহার করতে পারে।
পুরুষ অথ্যাচারী-মনোবিজ্ঞানের মতে যে প্রহার করা হয় তা আনন্দের। তাই বলে এতে দু’জনেই যে আনন্দ পাবে এমন নয়। এটা দু’জনের মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।
প্রহরণের মধ্যে আবার প্রকারভেদ আছে-
১। মুষ্টি প্রহার-হাত মুষ্টি বদ্ধ করে দেহের বিভিন্ন অংশে মৃদু প্রহরণ।
২। চপেটাঘাত (হাত খুলে রেখে ধীরে ধীরে।)
৩। দু’টি অঙ্গুলির সাহায্যে প্রহরণ।
৪। প্রহরণ ও সংবহন মিশ্রিত করে প্রহরণ।
মর্দন বা সংবাহন
যদিও মর্দন শৃঙ্গার কালে মাঝে মাঝে হয়- তবে এই মর্দন প্রকৃত শৃঙ্গার নয়।
মর্দন বেশি হয় রতিকালে বা রতির পূর্বে।
নারীদেরহর কোমল অংশে যেমন স্তন, নিতম্ব, ঊরুদ্বয় প্রভৃতির মর্দন হ’য়ে থাকে।
রতিক্রিয়াকালে স্তন ও নিতম্ব মর্দন করেও পুরুষ ও নারী উভয়ে আনন্দ পায় বলে বাৎস্যায়ন বলেছেন।
তবে যারা পছন্দ করেন তাঁরাই এটা করবেন। যদি একজন বা দু’জনেই পছন্দ না করেন তবে এর প্রয়োজন নেই।
ঔপরিষ্ঠক বা মুখমেহন
মুখমেহন স্বাভাবিক মিলন হিসাবে বাৎস্যায়ন স্বীকার করেন নি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এটি সর্বদা চলতে পারে না। তবু শাস্ত্রে এটি উল্লিখিত হয়েছে।
শাস্ত্রে উল্লিখিত হবার অর্থ অবশ্য এই নয় যে, এটি খুব ভাল আসন বা এটি সম্মান পেয়েছে। শাস্ত্রে কেবল এটাকে একটি অস্বাভাবিক মিলন বলেই এর নাম উল্লিখিত হয়েছে।
ভারতের কোন কোন জাতির মধ্যে ঔপরিষ্ঠক স্বীকৃত ও বেশ প্রচলিত-কিন্তু তাই বলেই তাকে উচ্চ স্থান দেওয়া হয় না।
মুখমেহন সব পণ্ডিতের মতেই ঘৃন্য-তাই এ বিষয়ে বেশি আলোচনা করা হলো না।
বাৎস্যায়ন বলেন নারী শুধু তিনটি শ্রেণীরই নয়-তাছাড়াও আছে আর এক শ্রেণী-তার নাম হলো নপুংষক শ্রেণী।
এই নপুংষক শ্রেণীর যোনি ঠিকমত গঠিত নয়-তাই এদের সঙ্গে যৌন ক্রিয়া সম্ভব নয়। এদের দ্বারা কেবল মুখমেহন করানো চরতে পারে।
এই শ্রেণীর নপুংষক অনেক সময় অর্থের বিনিময়ে মুখমেহনে রাজী হয়।
এই মুখমেহন আট প্রকার হ’য়ে থাক-
১। নিমিত-এতে নপুংষক তার করতলে পুরুষাঙ্গ ধরে আসে- আসে- তার ওষ্ঠাধারে ঘর্ষণ করে।
২। পার্শ্ব-লিঙ্গ মুণ্ডের আবরণ খুলে আসে- আসে- মুখে প্রবেশ করানো।
৩। বহিঃসংদংশন্তদাঁত ও ঠোঁট দিয়ে পুরুষাঙ্গের আবরণ উন্মোচন।
৪। পুরুষাঙ্গ বারে বারে মুখের ভেতরে নেওয়া ও বের করা। বহুক্ষণ এরূপ করা।
৫। অন্তঃসংদংশন্তওষ্ঠাধর দিয়ে চোষণ করা।
৬। জিহ্বা দ্বারা চোষণ।
৭। আম্রচোষণ-পুরুষাঙ্গ আম্রের মত চোষণ করা।
৮। আকন্ঠীত-সম্‌সত পরুষাঙ্গ গিলে ফেলার মত।
মুখের মধ্যে সুরতের সঙ্গে সঙ্গে আলিঙ্গনাদিও চলতে পারে।
অনেক নীচজাতীয়া নারীদের দ্বারা এ কাজ করানো যেতে পারে।
কামশাস্ত্রে মুখে সুরত নিষিদ্ধ। তবে অনেকে এটি পছন্দ করেন।-বা কোন রাবাঙ্গনা রাজী হলে তার দ্বারা এটি করান। কিন্তু অন্তঃপুর চারিনীদের এটি করা উচিত নয়।
সহবাসের পরের কথা
সহবাসের পরে দু’জনেরই উচিত কমপক্ষে এক পোয়া গরম দুধ, একরতি কেশন ও দুই তোলা মিশ্রি সংযোগে সেবন করা। সহবাসে কিছু শক্তির হ্রাস হ’তে পারে। এতে করে কিঞ্চিৎ পূরণ হয়। অন্যথায় সহবাস করা উচিত নহে। এই কারণেই মনীষীরা মাসানে- একবার রতিক্রিয়া ব্যবস্থা করে দেন। যাতে উপরোক্ত সামগ্রীর যোগাড় করতে গরীব বা মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকের পক্ষেও কষ্টকর না হয়। পুষ্টিকর খাদ্য না খেলে পুরুষ অচিরেই শক্তিহীন হ’য়ে পড়ে ও তার কর্মশক্তি লোপ পায়।
অত্যধিক মৈথুনের জন্য হজমশক্তি লোপ পায়। ফলে অম্ল, অজীর্ণ প্রভৃতি নানা প্রকার রোগ দেখা দেয়। এই সমস্ত রোগের হাত থেকে নিশ্চিত ভাবে নিষকৃতির জন্য মৈথুনের পর দুগ্ধ পান অত্যাবশ্যাক। অবস্থায় সম্ভব হলে নিম্নের টোটকাগুলি ব্যবহার করলে ভয়ের কারণ থাকবে না।
(১) বাদাম দুই তোলা ভালভাবে বেটে নিয়ে তা মিশ্রি সংযোগে মৈথুনের পর গরম করে খেলে বিশেষ উপকার হয়।
(২) দুতোলা ঘি, দু তোলা মিশ্রি কিংবা গুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করলে সহজে ক্ষয় পূরণ হয়।
(৩) মুগের ডাল ভালভাবে বেটে নিয়ে ভেজে নিন, পরে মিশ্রি কিংবা চিনি মিশিয়ে নাড়ার মত করে চার তোলার মত মৈথুনের পর খেয়ে নিলে উপকার হয়।
সহবাসের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষাঙ্গ ধৌত করলে নপুংষকতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। সেজন্য রতিক্রিয়ার কিছু সময় পরে পুরুষাঙ্গ ধৌত করা বিধেয়। এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রত্যেকের উচিত।
সহবাসের পর দেহের বিষয়ে কি কি যত্ন নিতে হবে এ বিষয়ে শাস্ত্রে কতগুলি নিয়ম বিধিবন্ধ আছে। আমরা তা একে একে আলোচনা করছি।
১। সহবাসের পর দু’জনের কিছুক্ষণ পরস্পর সংলগ্ন হ’য়ে অবস্থান করবে। এতে মানসিক তৃপ্তি হয়। ধীরে ধীরে দেহ শীতল হয়। এতে প্রেম দীর্ঘস্থায়ী হ’য়ে থাকে।
২। তারপর অবশ্য প্রত্যেকেই নিজ নিজ যৌনাঙ্গ ভালভাবে ধৌত করবে-এটি অবশ্য পালনীয়। তবে কিছুক্ষণ পর।
৩। অনেক শাস্ত্রে দুজনের ্লান করা বিধান আছে তবে তা সকলে পালন করে না।
৪। শর্করা মিশ্রিত এক গ্লাস জল কিঞ্চিৎ লেবুর রস বা দধি কিংবা শুধু ঠাণ্ডা জল কিছু খেতে হবে। এতে শরীরের মঙ্গল করে।
৫। প্রয়োজন হরে কোন পেটেন্ট ঔষধ সেব করা যাইতে পারে।
৬। সহবাসের পর ঘুম একান্ত আবশ্যক-তদাই শেষ রাতে সহবাস বাঞ্ছনীয় নয়।
৭। পরদিন প্রভাতে স্নান করা একান্ত আবশ্যক। তা না হলে মন শুচি হয় না- কর্মে প্রফুল্লতা আসে না। অন্যথায় পরদিন মন খারাপ থাকে, কর্মে একঘেয়েমি আসতে পারে।
৮। সহবাস প্রারম্ভে বা শেষে নেশা সেবন ভাল নয়। এতে দৈহিক ক্ষতি হয়-প্রেম দূরে যায়-মানসিক অসাড়তা আসতে পারে।
৯। রাত্রির প্রথম ও শেষ প্রহর বাদে মধ্যম অংশই সহবাসের পক্ষে উৎকৃষ্ঠ সময়, এ কথা সর্বদা মনে রাখতে হবে।
১০। সহবাসের পর অধিক রাত্রি জাগরণ, অধ্যয়ন, শোক প্রকাশ, কলহ কোন দুরূহ বিষয় নিয়ে গভীর চিন্তা ও মানসিক কোন উত্তেজনা ভাল নয়।
সফল মৈথুন
এবারে আমরা একটি প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করব তা সফল মৈথুন।
এমন প্রশ্ন অনেকে করতে পারে-মৈথুন আবার সফল অ-সফল কি? যথারীতি নর-নারীর মিলন। দৈহিক মিলনের পরিপূর্ণ আনন্দ ও রেতঃপাত। এই ত মৈথুন।
আমরা বলব না, তা নয়।
তবে?
আমরা বলব শতকরা একটি কি দু’টির বেশি মৈথুন সফল মৈথুন হয় না। কেন হয় না? তা বলতে গের সফল মৈথুন কি, সে বিষয়ে আলোচনা করতে হয়। স্ত্রীর কামনার তৃপ্তি কম বেশি হয়ত হয়ে থাকে। তথাপি স্ত্রী গর্ভবতী হ’য়ে সন্তানের জন্মও দিতে সুরু করে, তবু তা সফল মৈথুন হয় না।
কেন?
এর উত্তর হলো শৈথুন বা রেতঃপাত অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু সফল মৈথুন খুব অল্প জনের ভাগ্যেই ঘটে থাকে।
এবার সে বিষয়ে আলোচনা করব।
সফল মৈথুনের পরিচয়
যে মৈথুন করলে শারীরিক, মানসিক ও দৈহিক কোনও ক্ষতি হয় না। উলটে কর্মে আনন্দ ও একাগ্রতা আসে এবং মৈথুনের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়; স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় এবং হৃদয় প্রফুল্ল ও শান্ত, ্লিগ্ধতায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে-তাকে সফল মৈথুন বলে।
সফল মৈথুনের ফল
১। মনের শান্তি পায়। মন সর্বকাজে দৃঢ় হ’য়ে থাকে ও মনের উৎসাহ বাড়ে।
২। কাজকর্মে একাগ্রতা আনে। কাজকর্মের দিকে মন সংযোগ বৃদ্ধি পায়।
৩। দৈহিক ও মানসিক তৃপ্তির জন্যে কর্মক্ষমতা বৃৃদ্ধি পায়। নিজেকে গর্ব অনুভব করে।
৪। স্ত্রীর প্রতি প্রেম বৃদ্ধি পায় ও স্ত্রীকে প্রকৃত ভালবাসতে পারে। স্ত্রীর আকর্ষণ আসে স্বামীর প্রতি।
৫। অন্য নারীর প্রতি আকর্ষণ থাকে না।
অসফল মৈথুনের ফল
১। মনে শান্তি থাকে না। মন ধীরে ধীরে অবসাদে ভরে ওঠে। মেজাজ হ’য়ে যায় খিটখিটে।
২। সব সময় মন উত্তেজিত ও বিরক্ত থাকে।
৩। মানসিক দুর্বলতা প্রযুক্ত কাজকর্মে ইচ্ছা কমে যায়।
৪। স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা কমে আসে।
৫। পরনারীর প্রতি আকর্ষণজনিত চরিত্রদোষ ঘটতে পারে। পতিতারয় গমনও ঘটতে পারে।
৬। শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে-সব সময় শরীর ভার ভার বোধ হয়। আহার ও নিদ্রার প্রতিও আকর্ষণ কমে যায়।
৭। বায়ুর প্রাবল্য, চোখ মুখ জ্বালা করতে থাকে।
৮। মাথা ঘোরে ও গা বমি বমি করে।
৯। ধীরে ধীরে মৈথুনের প্রতি ঘৃণাও জন্মাতে পারে।
এখন কথা হচ্ছে কি করলে মৈথুন সফল করা যায়।
মৈথুন অ-সফল হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে-উপযুক্ত পুরুষ ও নারীর মিলনের অভাব।
অ-সফল মৈথুনের কারণ
এবারে অ-সফল মৈথুনের কতকগুলি প্রধান কারণের বিষয় লেখা হচ্ছে-এগুলিও মনে মনে চিন্তা ও বিচার করে নিতে হবে।
১। মৈথুনের আগে নারীকে উত্তেজিত না করা।
২। মৈথুনে যোগ্যভাবে নিজেকে তৈরী না করা।
৩। উপযুক্ত আসন না করে মৈথুনে লিপ্ত হওয়া।
৪। শক্তির অভাবে মৈথুন পূর্ণ হ’তে পারে না।
৫। অসুস্থ অবস্থায় মৈথুন্তএতে তত পূর্ণ আনন্দ হয় না। দৈহিক ক্ষতি করে।
৬। ঘন ঘন মৈথুন্তএটি অবশ্য পরিত্যজ্য। ইহা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর।
৭। অযোগ্য স্ত্রী-স্ত্রী উপযুক্ত না হলে পূর্ণ মৈথুন হয় না।
৮। অন্যান্য অসুবিধা বা মানসিক কারণ।
৯। স্বামী বা স্ত্রীর অন্য নারী বা পুরুষের প্রতি গোপন আসক্তি।
১০। প্রকৃত উত্তেজনা ছাড়া মৈথুন।
উত্তেজনার বিচার
এবারে প্রকৃত উত্তেজনা কি ও কি তার লক্ষণ সে বিষয়ে বলা হচ্ছে।
উত্তেজনা দুই প্রকার-(১) আসল (২) নকল বা বাহ্যিক।
যে যৌন উত্তেজনা সাধারণতঃ নর-নারীর মধ্যে দেখা যায় তা প্রায়ই নকল উত্তেজনা।
নকল কেন তার প্রমাণ করে দেওয়া হবে-আগে আসল উত্তেজনার লক্ষণ কি তাই বলা হচ্ছে।
নারী পুরুষকে বা পুরুষ নারীকে কাছে টেনে নিয়ে পরস্পর উত্তেজনা সৃষ্টির প্রয়াস পায় এবং তার ফলে যদি হৃদয়ে উত্তেজনা জাগে তা প্রকৃত উত্তেজনা নয়।
হৃদয়ে আপনা থেকেই ভাবভঙ্গীর মুখে পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হবার দুর্দমনীয় কামনা যদি জাগে তবে তা হলো আসল অর্থাৎ প্রকৃত উত্তেজনা।
প্রকৃত উত্তেজনা সম্বন্ধে বাৎস্যায়ন বলেছেন।-
যদি কোন নারীর স্মৃতি (চেহারা) বা ধ্যান ছাড়াও আপনা থেকেই হৃদয় উত্তেজিত হ’য়ে উঠে, তবে তা হরো প্রকৃত উত্তেজনা।
কিন্তু এ হলো সেই যুগের কথা-মানুষ যখন প্রকৃতির উপর নির্ভর করে চলতো। প্রকৃতির উপর নির্ভর করে সে নিজের মানসিক অবস্থা নিরূপণ করতো।
আজকাল যুগ পালটে গেছে।
নারী মূর্তি দর্শন আজকাল হামেশাই করতে হয়। হাটে-বাজারে চারপাশে নারীর নানা ভঙ্গির নানা ছবি নানা বিজ্ঞাপন। নারীর দেহ আর যৌবনের নানারূপ ভঙ্গিমার বিজ্ঞাপন দিয়েই আজকাল প্রচুর জিনিস বিক্রি হয়। সাইনবোর্ডেও নারীর নানারূপ প্রতিকৃতি দেখা যায়।
তবে আজকাল সেভাবে প্রকৃত উত্তেজনা বোজা সহজ কথা নয়।
প্রকৃত উত্তেজনা তাই আজকাল অন্যভাবে সি’র করা হ’য়ে থাকে।
অর্থাৎ যখন চিত্তবৃত্তি আপনা থেকেই নারীর প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং মনকে কিছুতেই আর সংযত করা যায় না, তখনই প্রকৃত উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং তাকেই প্রকৃত উত্তেজনা বলে।
এ কথা ঠিক যে প্রকৃত উত্তেজনা ছাড়া মৈথুন করা উচিত নয়। তেমনি প্রকৃত উত্তেজনা জাগলে তা দমন করা ঠিক নয়। তাতে দৈহিক ও মানসিন ক্ষতি হ’তে পারে।
প্রকৃত উত্তেজনার সময় ব্যতীত মৈথুন করলে তা মৈথুন হতে পারে না।
মৈথুনের শক্তির স্বল্পতা
মৈথুনে শক্তির স্বল্পতা আর শীঘ্র রেতঃপাত করলে একই কথা, কিন্তু দু’টির কারণ কিছুটা ভিন্ন।
শীঘ্র বীর্য্য পতন এক ধরনের রোগ। এ বিষয়ে আমরা এর পরে রোগের পরিচ্ছেদে বিশেষভাবে আলোচনা করব।
কিন্তু মৈথুন শক্তির স্বল্পতা একটা প্রধান জিনিজ। এটি দৈহিক ও মানসিক অবস্থার ওপর হ’য়ে থাকে। কারণঃ-
১। অধিক উত্তেজনা।
২। ঘন ঘন উত্তেজনা কিন্তু কম পরিমাণে।
৩। যখন উত্তেজনা আসে তখন স্ত্ররি সঙ্গে মৈথুন না করা।
৪। মৈথুনের সময় ভয়, লজ্জা ও কোন বাধা।
৫। বহুদিন বাদে মৈথুন করা।
৬। হস্তমৈথুন করা।
৭। দৈহিক অসুস্থতা।
৮। জন্মগত দুর্বলতা।
৯। যৌন ব্যাধি ইত্যাদি।
প্রতিকার-শীঘ্র পতন, যৌন ব্যাধি জন্মগত দুর্বলতা ইত্যাদি বিষয়ে এর পরে আলোচনা করা হয়েছে। প্রত্যেক রোগের কি ঔষধ তাও বলা হয়েছে।
নেশা সেবন
কোন প্রকার নেশা করা অবশ্যই অনুচিত বলে শাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে। তবে কিছু সংখ্যক লোক মৈথুন শক্তি বাড়াবার মত কিছু কিছু নেশা করে থাকেন। তবে নেশা যদি সামান্য হয় অর্থাৎ তাতে যদি ঠিক পুরা মাদকতা না আসে, অথচ যৌন ক্ষমতা যদি সামান্য বৃদ্ধি পায়, তবে তা নিশ্চয়ই উপকারী।
নেশায় যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়?
ঠিক তা নয়-নেশায় বীর্য্যকে কিছুটা শুকিয়ে গাঢ় করে দেয়, তাই কিছুটা বেশী সময় ধরে মৈথুন করা চলে।
শাস্ত্রের মতে মাদক দ্রব্য অল্প পরিমাণে অবশ্য ইন্দ্রিয় শক্তি ও দৈহিক শক্তি বৃদ্ধির জন্য প্রতিটি ঔষধের সাথে ব্যবহার করা হয়।
যেমন- (১) এ্যালকোহল। (২) সিদ্ধি। (৩) আফিং ইত্যাদি
কিন্তু পরিমাণে তা ব্যবহৃত হয় খুব কম-ঠিক মাত্রা অনুযায়ী।
কিন্তু লজ্জাশালী রমণী স্বামীর এ প্রস্তাব প্রকারান্তরে প্রত্যাখ্যান করে। এতে স্বামী অবশেষে মনঃক্ষুন্ন হয় এবং বেশ্যালয়ে যাওয়া সুরু করে। পেটের দায়ে যারা এ বৃত্তিকে স্বেচ্ছায় বরণ করে নিয়েছে, পয়সা রোজগারের জন্য যত নগ্ন ও গর্হিত কাজই হোক না কেন, এরা তা করে।
আর একটা কথা।
সাধালণ খাদ্য পানীয় দ্বারা যতটা সম্ভব ততটা যৌন ক্ষমতা আগে বাড়াবার চেষ্টা করা উচিত। তারপর অবশ্য ঔষধ। ঔষধের চেয়ে বেশী মাত্রায় নেশা ভাল নয়।
যৌন ইন্দ্রয়ের অক্ষমতা
যৌন ইন্দ্রয়ের অক্ষমতা হলো সকল মৈথুনের আর একটা প্রধান অন্তরায়।
মৈথুন শক্তির অক্ষমতা আর যৌন অক্ষমতার কারণ কিন্তু ঠিক এক নয়। মৈথুন শক্তির অক্ষমতা সক্ষম ইন্দ্রিয় শক্তি থাকলেও হতে পারে।
কিন্তু অনেকের ইন্দ্রিয় আবার ঠিক তার মত দৃঢ় হয় না। আর ইন্দ্রিয় দৃঢ় না হলে মৈথুন ক্ষমতা স্বাভাবিক হয় না।
এর প্রকৃত কারণ কি?
এ বিষয়ে নানা আলোচনা আগে করা হয়েছে। এখনও করা হবে।
ইন্দ্রিয় উত্তেজিত না হবার কারণ হলো অবশ্য শারীরিক দুর্বলতা। কিন্তু তা আসে কেন?
(১) অমিতাচার।
(২) জন্মগত অক্ষমতা।
(৩) যৌন ক্ষমতার অভাব।
(৪) হস্তমৈথুন অভ্যাস ইত্যাদি।
যাই হোক যৌন ইন্দ্রিয়ের অক্ষমতা উপযুক্ত চিকিৎসক দ্বারা অবশ্যই চিকিৎসা করান দরকার।
তা না হলে যৌন ইন্দ্রিয়ের ক্রমশঃ আরও মারাত্নক হ’য়ে অন্য রোগের সূচনা করতে পারে।
অযোগ্য স্ত্রী
স্ত্রী, মৈথুনে অযোগ্য হয় কেমন করে?
এর উত্তর হলো-মৈথুনের উপযুক্ত ভাবে সহায়ক না হলে সেই স্ত্রীকে অযোগ্য বলা হয়।
স্ত্রী অযোগ্য কি করে হতে পারে।
১। মৈথুনে অনাসক্তি।
২। উপযুক্ত শ্রেণী হিসাবে মিল না হবার জন্য মৈথুনে অক্ষমতা। যেমন বৃষ বা অশ্ব জাতীয় পুরুষের সাথে পদ্মিনী জাতীয় স্ত্রীর।
৩। দৈহিক গঠনের জন্য মৈথুনে অতৃপ্তি।
৪। লজ্জা ও ভয় ইত্যাদি কারণে স্বামীর সঙ্গে মৈথুনে লিপ্ত না হতে ইচ্ছা।
৫। হৃদয়ে প্রেমের অভাব।
৬। গোপন প্রণয়ী-স্বামীর প্রতি আসক্তি বা প্রেমের অভাব।
এর জন্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মানসিক হলে তার জন্যে স্ত্রীকে ভালোবেসে তার হৃদয় জয় করতে হবে।
দৈহিক হলে, চিকিৎসার প্রয়োজন। নারী পুরুষ উভয়েই সমশ্রেণীর না হলে মৈথুনকালীন বিবিধ অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এই অসুবিধাই হলো অ-সফল মৈথুন।
মৈথুনে অন্যান্য অসুবিধা
সফল মৈথুনের অন্যান্য অসুবিধা হলো-
(১) আর্থিক অস্বচ্ছলতা।
(২) যোগ্য স্থানের অভাব।
(৩) খাদাদির অভাব ও দৈহিক দুর্বলতা ইত্যাদি।
একথা অবশ্যই ঠিক যে সুবিধাজনক সময়, স্থান, খাদ্যদির অভাব হলে, মৈথুন, সফল হ’তে পারে না। কোন গরীব বা অভাবী লোক আগে খাদ্যের যোগাড় করবে তারপর মৈথুন।
এখানে আর একটি প্রয়োজনীয় কথা হলো-প্রাচীন শাস্ত্র কারক বলেছেন যে, সফল মৈথুন নর-নারীর আনন্দ প্রাপ্তির উৎস তা ঠিক।
সফল মৈথুন না হলে, হৃদয়ে পূর্ণ আনন্দ প্রাপ্তি না হলে উপযুক্ত সন্তান হয় না। অ-সফল মৈথুনে যে সন্তান হয়, তা জাতির প্রতিবন্ধক স্বরূপ। সফল মৈথুনই প্রকৃত সন্তানের জন্ম দেয়।
অবশেষে একটি প্রধান কথা হলো-মৈথুন যক কম হয় তত ভালো। তাতে রতিশক্তি বৃদ্ধি পায় ওসকল মৈথুনের জন্যে দেহমনকে শক্তি সঞ্চয়ী করে তোলে।

Recent Posts

Categories

Unordered List

Sample Text

Pages