ঋতুকালীন ব্যথা

ব্যথাযুক্ত ঋতুস্রাব—প্রতিকার ও চিকিৎসা
ঋতুস্রাব বা মাসিকের সময় তলপেটে কোনো ব্যথা বা কষ্টদায়ক অনুভূতি হয় না, এমন নারীর সংখ্যা কম। পরিমাণগত দিক দিয়ে এ ব্যথা সামান্য থেকে তীব্র যেকোনো মাত্রায় হতে পারে। তবে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এ ব্যথার পরিমাণ যখন এমন হয় যে তা দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করে, তখনই কেবল এটাকে অসুস্থতা বা ডিজমেনোরিয়া বলে গণ্য করা হয়। ডিজমেনোরিয়া দুই ধরনের—প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি।

প্রাইমারি ডিজমেনোরিয়া
সাধারণত ১৮ থেকে ২৪ বছরের তরুণীরা এতে বেশি ভোগেন। এর নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা নেই, তবু কারণ হিসেবে কিছু বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়ে থাকে। যেমন, মাসিকের সময় ব্যথার প্রতি সংবেদনশীলতা বেড়ে যাওয়া, ঘরে-বাইরে অশান্তি, পরীক্ষার চাপ, বেকারত্ব, ভগ্নস্বাস্থ্য ইত্যাদি। এ ছাড়া গবেষণায় কিছু হরমোনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, যেমন-প্রোজেস্টেরন, প্রোস্টাগ্লান্ডিন, ভেসোপ্রেসিন ইত্যাদি। আরেকটি চমকপ্রদ তথ্য হলো, অন্তত একবার গর্ভধারণ এবং স্বাভাবিক প্রসবের পর এ সমস্যাটি আপনাআপনি সেরে যায়। গর্ভধারণ ও প্রসবের মাধ্যমে জরায়ু পরিপক্বতা লাভ করে এবং সাধারণত এরপর ডিজমেনোরিয়া হয় না। মাসিক শুরুর সঙ্গে এ ব্যথা শুরু হয় এবং প্রথম দিনের পর আর ব্যথা থাকে না। তলপেটে মোচড়ানো ধরনের ব্যথা হয়। কোমরে ব্যথা হতে পারে। ঊরু বা থাইয়ের ভেতরের অংশেও ব্যথা হতে পারে। এ ব্যথা কখনো ঊরুর পেছনে বা হাঁটুর নিচে যায় না (তেমন ক্ষেত্রে বুঝতে হবে অন্য সমস্যা রয়েছে)। এ সময় ব্যথার প্রভাবে রোগীকে বিমর্ষ দেখায়। তার বমি ভাব অথবা বমি হতে পারে; ডায়রিয়া কিংবা প্রস্রাবে ব্যথাও হতে পারে।

প্রতিকার
কিশোরী বয়সে মাসিক সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে মা, বড় বোন কিংবা অন্য নিকটাত্মীয়ের দায়িত্ব অনেক। বিষয়টি সেকেন্ডারি স্কুলপর্যায়ে পাঠ্য রয়েছে ঠিকই, তবে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষিকার খোলামেলা বৈজ্ঞানিক আলোচনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক তথ্য জানা থাকলে ভীতি কমবে। ভীতি কমলে ব্যথার তীব্রতা কম অনুভূত হবে। এ ছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম, ভগ্নস্বাস্থ্যের উন্নয়ন, অশান্তির সঠিক সমাধান ইত্যাদি বিষয়ও আমলে আনতে হবে।

চিকিৎসা
বাজারে যেসব ব্যথানাশক (এনএসএআইডি) ওষুধ পাওয়া যায়, তার সবই শরীরে প্রোস্টাগ্লান্ডিন উৎপাদন কমায় এবং ডিজমেনোরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর। তবে গাইনি ডাক্তারদের প্রথম পছন্দ মেফেনামিক এসিড ট্যাবলেট। আজকাল ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমেও এ রোগের বিবিধ চিকিৎসা রয়েছে।

সেকেন্ডারি ডিজমেনোরিয়া
অনেক গাইনি রোগের কারণে মাসিকের সময় ব্যথা হতে পারে, যেমন-তলপেটের ইনফেকশন, জরায়ুর টিউমার, পলিপ, জন্মগত ত্রুটি, এন্ডোমেট্রিয়োসিস ইত্যাদি। বিবিধ কারণ থাকায় মাসিকের সময় ব্যথার ধরনও ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত মাসিক চক্রের শেষ সপ্তাহে তলপেটে ভার ভার অনুভূত হয়। মাসিক শুরুর তিন-চার দিন আগে থেকেই ব্যথা হয়। মাসিক শুরু হলে ব্যথা কমতে থাকে। সেকেন্ডারি ডিজমেনোরিয়ার জন্য আলাদা কোনো চিকিৎসা নেই। প্রথমে অন্তর্নিহিত রোগটি সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে। এরপর সে রোগের চিকিৎসাতেই ভালো হবে প্রতি মাসের এ যন্ত্রণা।

বীর্যের যাবতীয় তথ্য – আপনার বীর্যের গুনাগুন কি সঠিক আছ

রুতেই বলে রাখি – বীর্য শুধুমাত্র পুরুষের প্রজননতন্ত্র থেকে নির্গত হয়। নারীর বীর্য বলে কোন কিছু নেই। নারীর কখনো বীর্য নির্গত হয়না। তবে যেহেতু নারীর যৌনাঙ্গ এবং মুত্রথলি খুব কাছাকছি অবস্থিত এবং মিলনকালে মুত্রথলিতে যথেষ্ট চাপ পড়ে তাই মিলনে পুর্নতৃপ্তিতে শেষের দিকে সামান্য পরিমান প্রস্রাব বেরিয়ে যেতে পারে যাকে পুরুষ/নারী অজ্ঞতাবশত বীর্য বলে ধরে নেন।


বীর্য কি?
বীর্য হল অসচ্ছ, সাদা রঙের শাররীক তরল যা বীর্যস্থলনের সময় পুংলিঙ্গের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত মুত্রনালীর মাধ্যমে শরীর থেকে বাহিরে নির্গত হয়। বীর্যের বেশি অংশ যৌন অনুভুতির সময় পুরুষ প্রজননতন্ত্রের ক্ষরন/নিঃসরন হতে সৃষ্ট।
৬৫% বীর্য-তরল ধাতুগত গুটিকা (seminal vesicles) দ্বারা উৎপাদিত।
৩০% থেকে ৩৫% মূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থিবিশেষ থেকে সরবরাহকৃত।
৫% শুক্রাশয় এবং অন্ডকোষের epididymes নামক অংশ হতে।


বীর্যে প্রাপ্ত রাসায়নিক পদার্থগুলো হলো যথাক্রমে – সাইট্রিক এসিড, ফ্রি এ্যামিনো এসিড, ফ্রাকটোস, এনজাইম, পসপোহ্‌রিলকোলিন, প্রোষ্টাগ্লেন্ডিন, পটাশিয়াম এবং জিংক। গড়পড়তা প্রতি বীর্যস্থলনে উৎপাদিত বীর্যের পরিমান ২ থেকে ৫ মিঃলিঃ। বীর্যের পরিমান এবং পুর্বের বীর্যপাতের সময় ব্যবধানের হিসাব অনুযায়ী বীর্যের ঘনত্বের তারতম্য এবং প্রতিবার বীর্যের সাথে (একেকবারের স্থলনে) শুক্রানুর সংখ্যা ৪ (চার) কোটি থেকে ৬০ (ষাট) কোটি পর্যন্ত হতে পারে। বীর্যে শতকরা ২০ ভাগ শুক্রানু জীবিত না হলে সে পরুষ বন্ধা – অর্থাৎ সন্তান জন্মদানে অক্ষম। ডাক্তারী পর্যবেক্ষনের জন্য সাধারনত হস্তমৈথুনের সাহায্যে বীর্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে বীর্যদাতা যদি শাররীক মিলন ব্যতিত বীর্যস্থলনে অসমর্থ্য হন, সেক্ষেত্রে রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়না এবং শুক্রনিধক পদার্থ নেই এমন কনডম ব্যবহার করে বীর্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।





















স্বাভাবিক/সাধারন বীর্য দেখতে কেমন?

বাহ্যিক রূপ:
বীর্য সাধারনত দেখতে মেঘলা সাদা অথবা কিছুটা ধুসর তরল। বীর্যস্থলেনের সাথে সাথে এটি দেখতি গাঢ় এবং জেলীর মত ইষৎ শক্ত। তবে পরবর্তি ৩০ মিনিটের মধ্যে বীর্য তরল এবং পানির মত পাতলা হয়ে যায়। বীর্যের পুরু এবং তরলীকরণ প্রজনন তথা সন্তান জন্ম দেবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয়।


গন্ধ:
বীর্যে ক্লোরিন এর মত একপ্রকার স্বাভাবিক গন্ধ থাকে।


স্বাদ:
অধিক মাত্রায় ফলশর্করা (fructose) থাকার কারনে এটি কিছুটা মিষ্টি স্বাদযুক্ত। তবে ব্যাক্তিবেধে বীর্যের স্বাদের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। এমনকি খাদ্যাভ্যাসের পার্থক্য থেকে বীর্যের স্বাদের পরিবর্তন হতে পারে।




কি রকম বীর্যকে “অস্বাভাবিক বীর্য” বলা হবে ?


অল্প পরিমানে বীর্য বের হওয়া:
বীর্যস্থলনে বীর্যের পরিমান কম হবার কারন হতে পারে ধাতুগত গুটিকা (seminal vesicles) অথবা বীর্য নিঃসরন নালীর(ejaculatory duct) প্রতিবন্ধকতা।
অল্প পরিমান বীর্যরস নির্গত হওয়া হয়তো বিপরিতগামী বীর্যস্থলনের কারনেও হতে পারে, যদি বীর্য নিঃসরনের সময় বীর্যের প্রবাহ মুত্রনালী দিয়ে বাহিরের দিকে না হয়ে উল্টোপথে মুত্রথলির দিকে প্রবাহিত হয় – সে অবস্থায় এমনটি হতে পারে। বীর্যের এই বিপরিতমুখীতা মূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থির সংক্রমন, পুর্বের কোন মূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থির (prostate) অস্ত্রপ্রচার, ডায়াবেটিস এবং অনেক ঔষধের পাশ্বাপ্রতিক্রিয়ায়ও হতে পারে।




অতিরিক্ত গাঢ় এবং পিন্ডাকার বীর্য:
শরীরে পানিশুন্যতার কারনে বীর্য হয়তো অস্বাভাবিক গাঢ় হতে পারে, তবে এটি একটি অস্থায়ী অবস্থা। গাঢ় / পিন্ডাকার বীর্যের একটু ভয়ানক কারন হল শুক্রাশয় এর নিন্মমুখী স্তর। যদি আপনার বীর্য একনাগাড়ে দুই থেকে তিন সপ্তাহ এ রকম আস্বাভাবিক দেখা যায় তবে অবশ্যই ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।
লাল অথবা বাদামী রঙের বীর্য:
যদি আপনার বীর্য লাল অথবা বাদামী রঙের দেখা যায় তাহলে মূত্রস্থলীর গ্রীবা সংলগ্ন গ্রন্থি (prostate) তে হয়তো বিস্ফোরিত রক্তপ্রবাহ হচ্ছে। এটি সাধারন বীর্যস্থলনের সময়ও দেখা যেতে পারে। এবং সাধারনত এক কিংবা দুই দিনে বীর্য তার স্বাভাবিক রঙে ফিরে আসতে পারে। যদি বীর্যের এই রঙ পরিবর্তন একটানা কয়েকদিন থেকে দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে পরামর্শের জন্য যেতে হবে। অবিরাম বীর্যের মধ্যে রক্তের উপস্থিতি হয়তো কোন প্রকার সংক্রমন, রক্তক্ষরন (হয়তো মানসিক আঘাত জনিত কারনে), এবং বিরল ক্ষেত্রে ক্যন্সারের কারনে দেখা যেতে পারে।
হলুদ কিংবা সবুজ রঙের বীর্য:
সাধারন বীর্যে ধুসর সাদা কিংবা ইষৎ হলুদ বনর্চ্ছটা থাকতে পারে। হলুদ কিংবা সবুজ রঙের বীর্য হয়তো রোগ সংক্রমনতা নির্দেশ করে, হতে পারে এটি যৌনবাহিত রোগ ”গনেরিয়া‘র“ লক্ষন। আপনার পাশ্ববর্তী কোন চিকিৎসালয়ে যান যেখানে যৌন বাহিত রোগের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। যদি বীর্যের এই বিবর্নতা গনেরিয়ার কারনে হয়ে থাকে তাহলে উপযুক্ত এ্যান্টিবায়োটিক ঔষধে চিকিৎসা সম্ভব।




বিরক্তিকর গন্ধযুক্ত বীর্য:
বীর্যের বিরক্তিকর গন্ধের প্রায়শঃ প্রধান কারন হলো রোগ সংক্রমনের লক্ষন। বীর্যে দুর্গন্ধ পরিলক্ষিত হলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।

মেয়েরা কেন সেক্স করে?

প্রশ্নটা শুনে প্রশ্নকর্তার বুদ্ধিমত্তা নিয়ে সন্দেহহওয়া স্বাভাবিক। যৌনক্রিয়ার যে কারণগুলোস্বাভাবিক বলে পরিগণিত হয় সেগুলোহচ্ছে ভালবাসা/রোমান্সের প্রভাবে আবেগতাড়িতহয়ে, আনন্দলাভের উদ্দেশ্যে, সন্তানলাভেরআশায় ইত্যাদি।কিন্তু এগুলো ছাড়াও আরোঅনেক বিচিত্র্য উদ্দেশ্যে মানুষ যৌনক্রিয়ায়লিপ্ত হয়।লক্ষ্যণীয়ভাবে, নারীদের যৌনক্রিয়ারকারণগুলো পুরুষদের চেয়ে অনেক বেশিবৈচিত্র্যময়।




ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সিন্ডি মেস্টন এবং ইভোল্যুশনারি সাইকোলজিস্টডেভিড বাস পৃথিবীরবিভিন্ন প্রান্তের ১০০৬ জন নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তাদের যৌন প্রেষণার বিষয়ে। আর মাত্র১০০৬ জন নারীর কাছ থেকেই বেরিয়ে এসেছে যৌনতার ২৩৭ টি আলাদা আলাদা কারণ। যদিওঅনেকগুলো কারণের ব্যাপারেপ্রায় সবাই একমত, আবার অনেকগুলো কারণ কয়েকজনের মধ্যেইসীমাবদ্ধ। তো দেখা যাক, কারণ গুলো কী কী? মেস্টন ও বাস নারীদেরযৌন-প্রেষণাগুলোকেস্বাভাবিকভাবেই তিন ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করেছেন: শারিরীক, আবেগীয়এবংবস্তুবাদী কারণ। প্রেষণার মধ্যে যেমন রয়েছে, নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, সেল্ফ এস্টিম বৃদ্ধিকরা, প্রেমিককে ধরে রাখা, তেমনি রয়েছে জোর-জবরদস্তির শিকার হওয়া পর্যন্ত।


বাস এবং মেস্টনকে প্রেষণার বিচিত্রতা অবাক করেছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছেসম্পূর্ণ পরোপকারীউদ্দেশ্য, তেমনি সম্পূর্ণ বদ মতলব। যেমন, কাউকে এস. টি.ডি তে আক্রান্ত করা।


১. আনন্দলাভের জন্য: অবভিয়াস! কিন্তু গবেষণার ফলাফল "মেয়েদের যৌনতাভালবাসাতাড়িত, আর ছেলেদের যৌনতা ইন্দ্রিয়সুখ তাড়িত", পশ্চিমা সমাজেপ্রচলিত এই মিথকে উড়িয়েদেয়। অর্ধেকেরও বেশি সংখ্যক নারীর কোন ধরণেররোমান্টিক রিলেশনশিপ না থাকা অবস্থায় শুধুইন্দ্রিয় সুখের জন্য সেক্স করতে আপত্তি নেই, বরং আগ্রহী। তবে কারো সাথে রোমান্টিক রিলেশনথাকা অবস্থায় ইন্দ্রিয় সুখের জন্য অন্য কারো সাথে সেক্স করার ব্যাপারে প্রায় ৮০ শতাংস নারীরঘোরতর আপত্তি রয়েছে। অর্থাৎ সিঙ্গেল অবস্থায় রোমান্স বিহীন সেক্সে অনেকেই আগ্রহী হলেওপার্টনারের সাথে চিটিং কে তারা সমর্থন করেন না।


২. রোমান্স: এটাও অবভিয়াস। প্রেমে পড়লে আবেগতাড়িত হয়ে প্রেমলীলায় মত্ত হয়নি এরকমজুটি খুঁজে পাওয়া দুস্কর।


৩. পার্টনারকে ধরে রাখার জন্য: অনেক সময়ই নিজের আবেগের চেয়ে বড় হয়েদাড়ায়পার্টনারকে ধরে রাখার প্রচেষ্টা। পার্টনারের আবেদনে সাড়া না দিলে সে ছেড়ে চলে যেতে পারে, এইধারণা থেকে অনেক সময়ই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সাড়া দেয় (আমরা পুরুষেরাও কি তা করি না?)


৪. অন্যের প্রেমিককে ছিনিয়ে আনার জন্য: অনেকে অন্য নারীর সাথে প্রকাশ্যরোমান্টিক সম্পর্কথাকা সত্ত্বেও পুরুষদের আবেদনে সাড়া দেয় এই উদ্দেশ্যে যে পুরুষটি তার 'পারফরমেন্সে সন্তুষ্টহয়ে' বা অন্য কোন কারণে তার রোমান্টিক পার্টনারকে ত্যাগ করে নতুন নারীকে স্বীকৃতি দিবে।

৫. দায়িত্ববোধ হতে: অনেক নারীই তাদের সঙ্গীদের সকল ধরণের যৌন চাহিদামেটানো দায়িত্ববলে মনে করে। সেক্ষেত্রে আবেগতাড়িত না হয়েও বা পার্টনার চলে যাওয়ার সম্ভাবণা না থাকাসত্ত্বেও সে দায়িত্ববোধ থেকে সাড়া দেয়। (ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এইটা ছেলেরাওকরে থাকে)

৬. গৃহস্থলি কাজের বিনিময়ে: অনেক বদ টাইপের পুরুষরা নাকি সেক্স না করলেবাজার করুমনা, ঘর রং করুম না, গৃহস্থালী আবর্জনা ফেলুম না এইসব বলেপার্টনারদের ব্লাকমেইল করে।

৭. করুণা করে: মানসিকভাবে ভেঙে পড়া কোন পরিচিতজনকে সান্তনা দেয়ার জন্যও নাকিমহীয়সীরা সেক্স করে থাকে। 

৮. বদ মতলবে: পদোন্নতির জন্য, টাকার জন্য, উপহার পাওয়ার লোভে,পার্টনারের ওপর কোনকারণে ক্ষিপ্ত হয়ে গোপন প্রতিশোধ হিসেবে, কোন শত্রুতার কারণে এস. টি. ডি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে।


৯. ব্রেক-আপের জন্য: অনেকে পার্টনারের ক্লান্তি থাকা সত্ত্বেও জোড়-জবরদস্তি করে সেক্স করারজন্য, যেন পার্টনার বিরক্ত হয়ে ব্রেক-আপ করে

১০. মেডিক্যাল সেক্স: মাথা ব্যাথা সহ আরো অনেক শারিরীক সমস্যার চিকিৎসা হিসেবেও নাকিঅনেকে সেক্স করে থাকে।

মেয়েদের যৌনতা

ছেলেরা মেয়েদের যৌনতা নিয়ে খুব কম তথ্য জানে। চটিগুলো পড়লে সেটা বোঝা যায়। চটি লেখক এবং মন্তব্যকারীদের অনেকে মেয়েদের সাথে যৌনকর্ম দুরের কথা কোনদিন মেয়েদের বাস্তব যৌনাং্গ দেখেছে কি না সন্দেহ। মেয়েদের সমন্ধে ওনাদের জ্ঞান মনে হয় পর্ন আর ইন্টারনেটের চটি থেকে নেওয়া। যাহোক সবার সুবিধার্থে কিছু তথ্য দিলামঃ

১. মেয়েদের যৌন চাহিদা ছেলেদের ৪ ভাগের এক ভাগ। কিশোরী এবং টিনেজার মেয়েদের যৌন ইচ্ছা সবচেয়ে বেশী। ১৮ বছরের পর থেকে মেয়েদের যৌন চাহিদা কমতে থাকে, ৩০ এর পরে ভালই কমে যায়।
২. ২৫ এর উর্দ্ধ মেয়েরা স্বামীর প্রয়োজনে যৌনকর্ম করে ঠিকই কিন্তু একজন মেয়ে মাসের পর মাস যৌনকর্ম না করে থাকতে পারে কোন সমস্যা ছাড়া।
৩. মেয়েরা রোমান্টিক কাজকর্ম যৌনকর্ম চেয়ে অনেক বেশী পছন্দ করে। বেশীরভাগ মেয়ে গল্পগুজব হৈ হুল্লোর করে যৌনকর্মর চেয়ে বেশী মজা পায়।
৪. মেয়েরা অর্গ্যাজম করে ভগাংকুরের মাধ্যমে, মেয়েদের অর্গ্যাজমে কোন মাল বের হয় না। তবে পেটে প্রস্রাব থাকলে উত্তেজনায় বের হয়ে যেতে পারে। মেয়েদের "মাল আউট" বলে কিছু নেই। কেউ যদি দাবী করে তাহলে সে মিথ্যা বলছে।
৫. ভগাংকুরের মাধ্যমে অর্গ্যাজমের জন্য চোদাচুদির কোন দরকার নেই।
৬. ভোদায় ধোন ঢুকালে মেয়েরা মজা পায় ঠিকই কিন্তু অর্গ্যাজম হওয়ার সম্ভাবনা ১% এর চেয়েও কম।
৭. লম্বা ধোনের চেয়ে মোটা ধোনে মজা বেশী। লম্বা ধোনে বেশীরভাগ মেয়ে ব্যাথা পায়।
৮. মেয়েদের ভোদার সামান্য ভেতরেই খাজ কাটা গ্রুভ থাকে, ধোনের নাড়াচাড়ায় ঐসব খাজ থেকে মজা তৈরী হয়। এজন্য বড় ধোনের দরকার হয় না। বাচ্চা পোলার ধোনেও এই মজা দিতে পারে।

মেনোরেজিয়া বা অতিরিক্ত মাসিক স্রাব

মেনোরেজিয়া কথাটির অর্থ হলো অতিরিক্ত মাসিক স্রাব৷ মাসিক স্রাব সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে ভালো হয়ে যায়৷ মাসিক স্রাব ৮ দিন অথবা তার চেয়ে বেশি হলে তাকে অতিরিক্ত মাসিক স্রাব বা মেনোরেজিয়া বলে৷ প্রথম মাসিক যখন শুরু হয় তখন হতে পারে, আবার বয়স বাড়ার পরেও হতে পারে৷

কারণ

* জরায়ুর প্রদাহ
* ডিম্বাধারের টিউমার
* জরায়ুর ক্যান্সার
* মাসিক বন্ধ হওয়ার সময়
* সন্তান হওয়ার পর জরায়ুর আকার পরিবর্তন হলে

লক্ষণ

* ৮ দিনের মধ্যে স্রাব বন্ধ হয় না
* অতিরিক্ত মাসিক স্রাব
* মাথা ব্যথা, পিঠ ও কোমর ব্যথা
* কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তস্বল্পতা, বমিবমি ভাব, দুর্বলতা
* রক্তশূন্যতা

পরামর্শ

* মা বাবার উচিত অত্যধিক চাপের কুফল সম্পর্কে অবহিত করা৷
* এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে বিলম্ব না করে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা৷
* প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে৷

চিকিত্‌সা
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক কারণ জেনে সেই অনুযায়ী চিকিত্‌সা করাতে হবে৷

ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

যোনি পথে প্রদাহ

এটি একটি যৌনবাহিত রোগ৷ স্বামী-স্ত্রী মিলনের ফলে অথবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অথবা অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতার কারণে স্ত্রীলোকের যোনিপথে প্রদাহ হয়ে থাকে৷

কারণ
যোনিপথে দুটি কারণে প্রদাহ হতে পারে

১. অসংক্রমিত প্রদাহ : যৌনিপথের স্রাব পরীক্ষা করলে কোনও রকম জীবাণু পাওয়া যায় না৷ স্বামী-স্ত্রীর মিলন ছাড়া এ রোগ এক দেহ হতে অন্য দেহে সংক্রমিত হয় না৷

এ ধরনের প্রদাহের উত্‌স হচ্ছে

* যৌনিপথের অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্নতা
* চর্মরোগ
* মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণ
* পুষ্টির অভাবে
* গর্ভাবস্থায়
* অপরিষ্কার এবং আটসাট পায়জামা বা প্যান্ট ব্যবহার করলে
* জণ্মনিয়ন্ত্রণে যৌনিপথে কোনও জেলি বা কপারটি ব্যবহার করলে

২. সংক্রমিত প্রদাহ : যে প্রদাহ এক দেহ হতে অন্য দেহে সংক্রমিত হয় তাকে সংক্রমিত প্রদাহ বলে৷ এ প্রদাহকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়৷

* নির্দিষ্ট ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি৷
* নির্দিষ্ট ছত্রাক দ্বারা : ট্রাইকোমোনাল, মনিলিয়াল ইত্যাদি৷

লক্ষণ

* স্বামী সহবাসে যোনিপথে জ্বালা ও ব্যথা হতে পারে৷
* প্রস্রাবে জ্বালা-পোড়া থাকতে পারে৷
* জ্বর থাকতে পারে৷
* যোনিপথে দুর্গন্ধযুক্ত পাতলা সাদা স্রাব থাকে৷
* যোনিপথে ফোলা ও লাল দেখা যেতে পারে৷ 
* যোনিপথের স্রাব পরীক্ষা করলে নির্দিষ্ট জীবাণু পাওয়া যাবে৷

চিকিত্‌সা (Treatment)

* দ্রুত চিকিত্‌সকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে৷ অন্যথায় পরে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে৷
* প্রতিরোধ
* রোগীকে ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে৷
* পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে৷
* রোগীকে প্রচুর পানি খেতে হবে৷
* বিশ্রাম নিতে হবে৷
* রোগমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত স্বামী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে অথবা স্বামী সহবাসের সময় স্বামীকে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷
* রোগীর কাপড় চোপড় যাতে অন্য কেউ ব্যবহার না করে সে বিষয়ে রোগীকে সতর্ক থাকতে হবে৷


ঔষধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

জরায়ুমুখের প্রদাহ

জরায়ু মুখ বা সার্ভিক্সে সংক্রমণ হয়ে লাল হয়ে যাওয়া বা ঘা হওয়াকে জরায়ুমুখের প্রদাহ বা সারভিসাইটিস বলে৷

কারণ

· প্রসব বা গর্ভপাতের পর সংক্রমণ

· জরায়ু মুখ ছিঁড়ে গিয়ে সংক্রমিত হওয়া৷ যেমন :

- প্রসবের সময় শিশুর অস্বাভাবিক অবস্থানের কারণে জরায়ুর মুখ ছিঁড়ে যাওয়া

- অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসব করানোর সময় জরায়ুর মুখ ছিঁড়ে যাওয়া

- ডিএন্ডসি করানোর সময় জরায়ু মুখ ছিঁড়ে যাওয়া

· গনোরিয়া হলে

· অদক্ষ দাই-এর সাহায্যে প্রসব করানো হলে, যেমন

- প্রসবের সময় হওয়ার আগেই হাত দিয়ে প্রসব পথে বার বার পরীক্ষা করা

- হাতের নখ না কেটে প্রসব করানো

- প্রসবের সময় ভালো করে হাত না ধুয়ে প্রসব করানো

- সম্পূর্ণ গর্ভফুল ঠিকমতো বের করতে না পারা৷

লক্ষণ

* জরায়ুতে ও যোনিতে ব্যথা, কোমর বা তলপেট ব্যথা থাকতে পারে৷
* মাসিক ঋতুস্রাবের সময় জ্বালা ও ব্যথা হয়৷ দুই মাসিকের মাঝখানে হঠাত্‌ মাসিকের রাস্তায় রক্ত দেখা দিতে পারে৷
* জরায়ুর নিচের অংশ ও যোনিতে চুলকানি দেখা দিতে পারে৷
* ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া৷
* শরীর দুর্বল হওয়া, মাথা ঘোরা, শরীরে ব্যথা ও কাজে অনীহা৷
* জরায়ুর মুখ ছোট বা বড় হয়ে যায়

চিকিত্‌সা
এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে৷ প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অপারেশন করতে হবে৷ এতে পরবর্তী সময়ে অনেক জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে৷ এমনকি ক্যান্সার হওয়ার আশংকা থেকে মুক্ত থাকা যাবে৷

প্রতিরোধ

* বিশ্রাম নিতে হবে৷
* পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে৷
* ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলতে হবে৷
* প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে৷


ঔষধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

মেনোপজ বা মাসিক ঋতু স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়া

মেয়েদের মাসিক ঋতু স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়াকে বলে মেনোপজ৷ মেনোপজ সাধারণত ৪৫ থেকে ৫২ বছরের মধ্যে হয়৷ এটা হঠাত্‌ করে বন্ধ হয় না, প্রায় ৬ মাস থেকে ২ বছর ধরে মাসিকে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে৷ মাসিক শুরু হওয়ার মতো মাসিক বন্ধ হওয়াও নারীজীবনের একটি স্বাভাবিক ঘটনা এটা কোনো রোগ নয়৷

কারণ
পৌঢ়ত্বের শেষভাগে নারী শরীরে হরমোন নিঃসরণ ক্রিয়া বিশেষভাবে পরিবর্তিত হয়৷ এই সময়ে নারী শরীরের ডিম্বাশয় বা ওভারি শুকিয়ে যায়, তাই ওভামও সৃষ্টি হয় না৷ ফলে ওভারি থেকে ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন হরমোন আর নিঃসৃত হয় না৷

লক্ষণ

* মাথা ধরা
* ওজন বেড়ে যাওয়া
* ঘুম কম
* পেশিতে যন্ত্রণা
* বুক ধড়পড়
* কোষ্ঠকাঠিন্য 
* কান ঝাঁ ঝাঁ করা
* মুখচোখ জ্বালা করা
* রাতে বেশি ঘাম
* ছোট খাটো বিষয়ে রেগে যাওয়া 
* বিরক্ত বোধ করা
* খিটখিটে মেজাজ
* প্রস্রাবে কষ্ট হওয়া, অল্প ও বারবার প্রস্রাব হওয়া
* যোনিপথ শুস্ক হওয়া, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব 
* স্বামী-সহবাসে কষ্ট হওয়া বা রক্তপাত হওয়া
* হাড়ের অসুখ বা অস্টিওপোরোসিস
* অস্থিসন্ধিতে ব্যথা
* যৌনাকাঙ্ক্ষা বেড়ে যাওয়া, পরে ধীরে ধীরে কমে যাওয়া
* উরু, নিতম্ব ও স্তনে মেদ জমা হওয়া
* যৌনাঙ্গের পিচ্ছিলতা কমে যাওয়া

পরামর্শ

* ব্যায়াম
* বিশ্রাম
* চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করা
* প্রতিদিন প্রচুর শাকসবজি খাওয়া
* দুশ্চিন্তামুক্ত থাকা
* রাতে ভালো ঘুম নিশ্চিত করা৷ ঘুম নিশ্চিত করতে মাঝে মাঝে ঘুমের ওষুধ সেবন করা যেতে পারে
* ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা

চিকিত্‌সা

* ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হরমোন থেরাপি করতে পারেন৷
* মেনোপজের সমস্যাকে না লুকিয়ে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিতে হবে৷


ঔষধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন৷ অন্যথায় কোন সমস্যার জন্য ডি.নেট দায়ী থাকবে না৷

অনিয়মিত মাসিক

অনিয়মিত মাসিক ও ঋতুস্রাব একটি মেয়েলি সমস্যা৷ মাসিক সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে হয়৷ অবশ্য কখনও কখনও দুই একদিন আগে পিছে হতে পারে৷ যদি ২১ দিনের আগে অথবা ৩৫ দিনের পর হয় তবে এটাকে অনিয়মিত মাসিক বলা হয়৷ যৌবনের প্রারম্ভে বা যৌবনের শেষ পর্যায়ে এরকম সমস্যা দেখা দেয়৷

কারণ

* স্ত্রী (ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন) হরমোনের ভারসাম্যের অভাবে
* জণ্মনিয়ন্ত্রণ পিল হঠাত্‌ খাওয়া বন্ধ করলে
* জননাঙ্গের যক্ষা, গণোরিয়া, সিফিলিস, এইডস, ডায়াবেটিস প্রভৃতির কারণে হতে পারে৷
* সন্তান প্রসবের পর পরও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে

* মানসিক কারণ
* হঠাত্‌ অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধি
* রক্তস্বল্পতা

লক্ষণ

* মাসে ২/৩ বার মাসিক বা ঋতুস্রাব হতে পারে
* শুরু হওয়ার ১/২ দিন পরই শেষ হয়ে যায় এবং কয়েকদিন পর আবার শুরু হয়
* একনাগাড়ে অনেকদিন ধরে চলতে পারে
* কোনো কোনো সময় স্বল্পকালীন মাসিক দেখা যায় এবং পরবর্তীতে মাসিক শুরু হলে তা প্রায় ২/৩ মাস পর্যন্ত চলতে থাকে
* রক্তস্বল্পতা বা এনিমিয়া দেখা দিতে পারে
* ক্ষুধামন্দা ও শরীর দুর্বল বোধ হয়
* মেজাজ খিটখিটে ও অশ্বস্তি বোধ
* রুগ্নতা ও সাংসারিক অশান্তি দেখা দিতে পারে৷

জটিলতা

* সন্তান ধারণে অক্ষমতা বা বন্ধ্যাত্ব দেখা যেতে পারে
* অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হতে পারে
* টিউমার ও ক্যান্সারজনিত হলে সময়মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মৃত্যুও হতে পারে

চিকিত্‌সা

* রোগীকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্রামে থাকতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে
* মানসিকভাবে আস্বস্ত হতে হবে
* রক্তস্বল্পতা দেখা দিলে রক্ত দিতে হবে
* পুষ্টিকর খাবার ও হালকা ব্যায়াম করতে হবে

পরামর্শ

* এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অস্থির না হয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে৷
* রোগীকে মানসিকভাবে আশ্বস্ত করতে হবে৷

জরায়ু নিচে নেমে আসা

মেয়েদের জরায়ু তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে যোনিপথে নিচের দিকে নেমে আসাকে জরায়ুর নিম্নমুখিতা বা জরায়ু নিচে নেমে আসা বলে৷

জণ্মগত কারণ

* জরায়ুর সন্ধিবন্ধনীগুলো জণ্মগতভাবে দুর্বল থাকলে
* জণ্মগতভাবে দীঘাᐂকৃতি জরায়ুর মুখ
* জণ্মগতভাবে ছোট আকৃতির যোনিপথ
* জরায়ু পিছনে হেলে থাকলে (স্বাভাবিক অবস্থায় জরায়ু সামনের দিকে ঝুঁকে থাকে)
* জণ্মগতভাবেই জরায়ুর বাইরে বেরিয়ে থাকা অবস্থা

সাধারণ কারণ

* কম সময়ের ব্যবধানে অধিক সন্তান জণ্মদানের ফলে জরায়ুর শক্তিবন্ধনী দুর্বল হয়ে পড়ে
* সন্তান প্রসবের সময় অদক্ষ হাতে জরায়ুর মুখ খোলার আগেই জণ্মনালী ধরে টানা হেঁচড়া করা
* দীর্ঘ সময় প্রসব যন্ত্রণা ভোগ করা
* তাড়াতাড়ি প্রসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করানোর জন্য গর্ভফুল ধরে টানাটানি করা
* প্রসবের পর মায়ের পরিপূর্ণ যত্ন না নেওয়া
* দীর্ঘদিনের কাশি, কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে
* জরায়ুতে টিউমার হলে
* ঘন ঘন ভারী জিনিসপত্র উত্তোলনের কাজ করলে
* অপুষ্টির কারণে
* প্রসবের পর ভারী কোন কাজ করলে৷ যেমন : ঢেঁকি পার দেওয়া, ভারী কলস বহন করা ইত্যাদি৷

লক্ষণ

* রোগীর মনে হয় যোনিপথে কী যেন বেরিয়ে আসতে চাইছে
* যোনিপথে অস্বস্তি ভাব
* হাঁটলে ব্যথা হওয়া অথচ শুয়ে পড়লেই ব্যথা মিলিয়ে যাওয়া
* যোনিপথ এবং জরায়ু গ্রীবায় পানি স্ফীতির কারণে সেখানে রক্তহীনতাজনিত ঘা দেখা দেয়
* অনেক সময় পুঁজ, রক্ত বা রক্তযুক্ত ক্ষরণ দেখতে পাওয়া যায়
* জরায়ুর সঙ্গে মূত্রথলি বেরিয়ে এলে প্রস্রাবজনিত অসুবিধা প্রকট আকারে দেখা যায়
* জরায়ুর সঙ্গে পায়ুপথ আক্রান্ত হলে মলত্যাগেও অসুবিধা দেখা দিতে পারে
* যৌনসঙ্গমের সময় কষ্ট হয়৷

চিকিত্‌সা
এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে৷ প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অপারেশন করতে হবে৷ এতে পরবর্তী সময়ের অনেক জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে৷

প্রতিরোধ

* গর্ভাবস্থায় মাকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে৷
* গর্ভাবস্থায় স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে হবে৷
* গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শমত স্বাস্থ্যসম্মত অবস্থায় থাকতে হবে
* ডাক্তার অথবা দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রী দ্বারা সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করাতে হবে৷
* প্রসব একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া৷ অযথা শিশু বা গর্ভফুল প্রসব করানোর সময় টানাটানি করা যাবে না৷
* প্রসবের প্রথম ধাপে জরায়ুর মুখ সম্পূর্ণরূপে না খুললে মাকে চাপ দেওয়ার জন্য বলা যাবে না৷
* প্রসবের পর তিন মাস মাকে ভারী কোনও কাজ করতে দেয়া যাবে না৷ যেমন: ঢেঁকি পার দেওয়া, কাঠ কাটা, ভারী কলস বহন করা ইত্যাদি৷
* প্রসবের পর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে চিকিত্‌সা করাতে হবে৷

মেয়েদের তলপেটের প্রদাহ রোগ

নারী দেহের প্রজননতন্ত্রের বা তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের মধ্যে পিআইডি বা পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ অন্যতম৷ অধিকাংশ মহিলাই এ রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন কষ্টে ভুগে থাকেন৷ এই প্রদাহ দুরকম হতে পারে

* জনন অঙ্গের নিচের দিকের প্রদাহ
* জনন অঙ্গের উপরের দিকের প্রদাহ৷

মেয়েদের তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের কারণ
এ রোগের অনেকগুলো কারণের মধ্যে যৌনরোগ যেমন - গণোরিয়া, ক্ল্যামাইডিয়া সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য৷ স্বামীর যদি যৌনরোগ থাকে তাহলেও হতে পারে৷ শতকরা ৬০-৭০ ভাগ ক্ষেত্রে পিআইডি যৌন রোগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত৷

জনন অঙ্গে যক্ষ্মার জীবাণুর সংক্রমণেও পিআইডি হতে পারে৷

মদ্যপান, ড্রাগ আসক্তি, একাধিক যৌনসঙ্গীর কারণে পিআইডি হয়ে থাকে৷

অন্যান্য কারণের মধ্যে-

অল্প বয়সে যৌনজীবন শুরু,

মাসিকের সময় সহবাস,

অস্বাস্থ্যকর ও অদক্ষভাবে গর্ভপাত করা এবং ডেলিভারি করানো,

ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার না করা,

স্ত্রী জনন অঙ্গের কোনও অপারেশনের পর, লুপ বা কপারটি পরাবার পর এই প্রদাহ হতে পারে৷

সাধারণত ১৪-২৫ বত্‌সর বয়সের মহিলারা পিআইডিতে বেশি আক্রান্ত হয়৷ অশিক্ষিত, দরিদ্র মহিলাদের মধ্যে এ রোগের প্রকোপ বেশি কারণ তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা খুবই কম৷
রোগের লক্ষণ

* তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের লক্ষণসমূহ -
* তলপেটে তীব্র ব্যথা হওয়া৷ এই ব্যথা কোমরে এবং বাহুতে বিস্তার করতে পারে৷
* তলপেটে ভারি অনুভব করা
* সহবাসে এবং জরায়ু ও জরায়ুমুখ স্পর্শ করলে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করা৷
* যোনিপথে দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব বা পুঁজ নির্গত হওয়া
* প্রস্রাব করার সময় ব্যথা, জ্বালা-যন্ত্রণা করতে থাকে৷
* মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে৷
* শরীরে সব সময় জ্বর থাকতে পারে৷
* মাথাব্যথা, বমি ভাব, পেট ফাঁপা হতে পারে৷
* খেতে অরুচি এবং স্বাস্থ্য ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে৷


পরীক্ষা
রক্তের রুটিন পরীক্ষা করতে হবে৷ জরায়ু মুখের রস পরীক্ষা করলে গণোরিয়ার জীবাণু পাওয়া যেতে পারে৷ ট্রান্স ভ্যাজাইনাল আলট্রাসনোগ্রাম ও ল্যাপারোস্কোপি করলে আরো সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব৷ কিছু কিছু সমস্যা আছে যাদের লক্ষণ তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের বা পিআইডির মতো মনে হতে পারে যেমন - একিউট এপেনডিসাইটিস, মূত্রনালীর তীব্র প্রদাহ, জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ বা এক্টোপিক প্রেগনেন্সি, সেপটিক অ্যাবরশন বা গর্ভপাত ইত্যাদি৷ এ ক্ষেত্রে দ্রুত পরীক্ষা করে সঠিক কারণ নির্ণয় করতে হবে৷

চিকিত্‌সা
তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের বা পিআইডির লক্ষণগুলো দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিতে হবে৷ অবশ্যই উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় প্রয়োগে চিকিত্‌সা করতে হবে৷ অবস্থা জটিল হলে প্রয়োজনে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিত্‌সা করাতে হবে৷ তলপেটের মারাত্মক প্রদাহের বা পিআইডি রোগীর যৌনসঙ্গীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও যৌনরোগ নির্ণয় করে উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিত্‌সা করাতে হবে৷ যৌনসঙ্গীর সঠিক চিকিত্‌সা না হলে রোগিণী আবার আক্রান্ত হয়ে পড়বে৷ গর্ভাবস্থায় তলপেটের মারাত্মক প্রদাহ বা পিআইডি হলে গর্ভবতীকে অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিত্‌সা করাতে হবে৷ গর্ভবতীর দ্রুত এবং সঠিক চিকিত্‌সা না হলে মা ও শিশু নানা রকম জটিলতার শিকার হবে, এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে৷

প্রতিরোধ ব্যবস্থা
তলপেটের মারাত্মক প্রদাহ বা পিআইডি রোগীর উপযুক্ত চিকিত্‌সা করা না হলে পরবতীᐂতে বন্ধ্যাত্ব এবং অন্যান্য জটিলতা দেখা দেয় ৷সেজন্য যৌন রোগগুলির প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিত্‌সা দিলে পিআইডি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব৷ বাচ্চা হওয়ার পর বা গর্ভপাতের পর বিশেষ পরিচ্ছন্নতা দরকার৷ মাসিকের সময় কাপড় বা ন্যাপকিন যাই ব্যবহার করা হোক না কেন তা অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে৷ একবার ব্যবহার করা জিনিস কখনই দ্বিতীয়বার ব্যবহার করা যাবে না৷ প্রতিবার বাথরুমে যাওয়ার পর যৌনাঙ্গ ভাল করে ধুয়ে ফেলতে হবে৷ ঝুঁকিপূর্ণ সহবাসে কনডম ব্যবহার করতে হবে৷ মনে রাখতে হবে, কনডম যৌন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে৷

ছেলে এবং মেয়েদের যৌন অক্ষমতার সমস্যা এবং তার সহজ মেডিকেল সমাধান।

বাংলাদেশ একটি কনসারভেটিভ দেশ, তবে বর্তমানে এদেশের সেক্স কালচার অনেক ফাস্ট, অনেক কম বয়স থেকেই ছেলে মেয়েরা সব কিছু জানে, বুঝে এবং করে ( বিশেষ করে শহরে )। কিন্তু সেক্সের এট্রাকটিভ দিক গুলোতেই সবার সাভাবিক ভাবেই আকর্ষন বেশি এবং এসব সমন্ধে জানার আগ্রহ থাকে, বেশি। তবে সেকসু্যাল সমস্যার বেপারে রয়ে গেছে ভয়ানক অগ্যতা, এবং যা জানা থাকে তার বেশিরভাগি ভুল তথ্য। আমি এই পোস্টে এইডস এর বেপারে কোনো আলোচনা করবো না কারন বিদেশি ফান্ডের সুবাদে এই সমন্ধে যথেষ্ঠ প্রচারনা হয়। কিন্তু এইডস হচ্ছে একটি রেয়ার প্রবলেম, এর থেকে কমন কমন সমস্যা সমন্ধে বেশিরভাগ মানুষের কোন আইডিয়া নাই, যেসব সমস্যা ঘরের কাছের সমস্যা। আর কমন সমমস্যার নিয়ে অনেক আরটিকেল পেপার মেগাজিনে পরলেও এর সঠিক মেডিকাল সমাধান খুব কমি পরসি। তাই আমি চেষ্টা করবো কমন লেংগুয়েজে শুধু মাত্র মোস্ট কমন কারোন গুলো উল্যেখ করার এবং সহজ সমাধান গুলো তুলে ধরার চেস্টা করলাম। ছেলেদের কমন সেকসুয়াল সমস্যা এবং তার সমাধান।
মেইল ইমপোটেন্স:
ছেলেরা যেই বেপারে সবচাইতে বেশি চিন্তিত থাকে সেটা হচ্ছে ইরেকশন প্রবলেম। যদিও এই সমস্যা মধ্যবয়সিদের মাঝে বেশি দেখা দেয়, কিন্তু অনেকগুলো কারোনের জন্য দেশের যুবক শ্রেনিদের মাঝেও এখন এই সমস্যা টা একটি বরো সমস্যা।
ধুমপান: ইউথ ইমপোটেন্স বা যুবকদের যৈন অক্ষমতার প্রধান কারন গুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ধুমপান, বাংলাদেশের মোটামুটি সবাই ধুমপান করে যা নাকি ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অফ দা হাইয়েস্ট। দেশে অনেক আজিরা কথা প্রচলিত আছে যেমন গোল্ড লিফ খেলে সেক্স পাওয়ার কমে যায়, আর বেনসন খেলে তেমন একটা খতি হয় না। ইটস আ বুলশিট। নিকোটিন সব সিগারেটেই আছে কম বেশি আর সিগারেটের অন্যান্য খতিকারক কেমিকাল গুলো সব সিগারেটেই সমপর্যায়ে থাকে। যেসবের কারনে পেনিসের রক্তনালি সংকচিত হতে থাকে।
স্ট্রেস: এটি পশ্চমা দেশ গুলোতে ইমপোটেন্সের প্রধান সমস্যা তবে দেশেও এটি একটি উল্যেখযোগ্য কারন। বিভিন্য কারনে যদি মাথায় বিভিন্য ধরনের টেনশন থাকে তাহলে ব্রেইন সেক্সের দিকে যথেষ্ঠ এটেনশন দিতে পারেন না। আপনার যদি সেক্স করার সময় ( এনাফ ) ইরেকশন না হয়ে থাকে, কিন্তু মর্নিং ইরেকশন ঠিক থাকে তাহলে মনে করবেন আপনার ফিসিকাল পাওয়ার ঠিকি আছে কিন্তু স্ট্রেস বা অন্য কোন মানসিক সমস্যার কারনে মেন্টাল কনসেনট্রেশন টা নেই। ড্রাগস: ড্বাগসের মধ্যে বিশেষ করে হেরোইন এর জন্য ইমপোটেন্স হতে পারে। কোকেইন সেবনে প্রথম দিকে সাময়িক ইরেকশন হলেও পরে সেটা আর হয় না এবং উল্টো খতি করে।
ওভার এক্সপেকটেশন: এটি আসলে কোন সমস্যা না। এটি ভুল বুঝা বা জানার জন্য হয়। সেক্স কালচার বেশি অপেন হওয়াতে পর্ন দেখে বা মৈখিক মিথ্যরচনার কারনে দেশ বিদেশ সব খানেই সেক্স পাওয়ার সমন্ধে ৯০ ভাগ মানুশের একটি ভুল ইমেজ তৈরি হয়েছে। এই বেপারে দেখা যায় যে মানুশ মনে করে তার হয়তো সেক্স পাওয়ার কম, কিন্তু ডাক্তারের কাছে গেলে কোনকিছু ধরা পরে না ( যদিও দেশের ডাক্তাররা অযথা অনেক টেস্ট করাবে)। ডাক্তার জিগ্যেশ করার পর দেখা যায় তার সেক্সয়াল একটিভিটি নর্মালি আছে, কিন্তু পেশেন্ট সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। মানুস মনে করে যে ডেইলি এবং লং এনাফ সেক্স করতে না পারাটাই অক্ষমতার লক্ষন। আবার অনেকে তার পেনিসের লেনথ নিয়ে খুশি নয়। এসব হচ্ছে অযথা টেনশন, পর্ন মুভিতে যা দেখানো হয় সেটা নর্মাল সেকসুয়াল একটিভিটি নয়। আপনার বউ ( সেক্সুয়াল পার্টনার) কে জিগ্গেশ করুন যে সে সেটিসফাইড নাকি, তাহলেই কিস্সা খতম। এক্সেসিভ পর্ন দেখার বদৈলতে আবার নিজের বউ বা সেকসুয়াল পার্টনারের প্রতি এট্রাকশন কমে যায় অনেকের।
জেনে রাখা ভালো, এভারেজ সেক্সয়াল ফ্রিকয়েন্স হলো সপ্তাহে ৩ বার।
ডিইরেশন ১৫ মিন। পেনিস লেনথ রেস অনুযায়ি ভেরি করে। ইউরোপ এমেরিকা: ১৪,৫ সে. মি. চায়না/ জাপান: ১২ সে.মি. সাবকন্টিনেন্ট ( ইন্ডিয়া/ বাংলাদেশ): ১৩ সে.মি. থেরাপি:
সবচে এফেকটিভ থেরাপি হচ্ছে চেন্জ অফ লাইফ স্টাইল
-ধুমপান বন্ধ করুন। বেপারটি খুবি কঠিন, এই বেপারেও আপনি সঠিক মেডিকাল গাইড পেতে পারেন আপনার ডাক্তারের কাছ থেকে।
-যথেষ্ঠ বেয়াম করুন। ফিসিকাল মুগমেন্ট ভায়াগরা বা অন্যান্য অষুধ থেকে অনেক বেশি এফেকটিভ, বিশেষ করে ইয়াং দের জন্য। -সেক্স বেপারটাকে স্পোর্টসের মতন দেখবেন না যে এটা তে আপনাকে ফার্সট প্রাইজ আনতেই হবে। বাট হালকা / রিলেক্স ভাবে নেন দেখবেন ফার্সট প্রাইজ থেকা বেশি এনজয় পাচ্ছেন।
-ভায়াগ্রা থেরাপি ডাক্তারের পরামর্শ ছারা শুরু করবেন না। এতে সাময়িক উপকারিতা পেলেও লং টার্মের জন্য এফেকটিভ থেরাপি নয়। -আল্টারনেটিভ ( ফুটপাথের সপ্নে পাওয়া ) ওৈষধ থেকে ১০০ মাইল দুরে থাকুন )
মেয়েদের কমন যৈন অক্ষমতার সমস্যা:
মেয়েদের যৈন অক্ষমতার বেপারে রয়েছে আরো বেশি নলেজের অভাব। এটা যে হয় সেটাই ৯০ ভাগ মানুশ জানে কিনা সন্দেহ আছে, এমনকি স্বয়ং মেয়েরাও জানে না অনেক সময়। দেশে আমি এই পর্যন্ত কোথাও এই বেপারে কোনো আরটিকেল দেখি নাই।
ভাজাইনাল ড্রাইনেস এবং পেইনফুল ইন্টারকোর্স:
মেয়েদের বেলায় সেক্সুয়াল এরাউসালের ( যৈন উত্যেজনার ) সময় লুব্রিকেশন (যোনিরস) হয় যার ফলে ভাজায়না ভিজে যায় এবং সেক্স করতে ( পেনিস ঢুকতে ) সুবিধা হয়। লুব্রিকেশনের বেশির ভাগ ফ্লুইড (রস) ভাজাইনার দেয়াল থেকে নির্গত হয় তবে ছোট একটি গ্লেন্ড ( থলি )থেকেও কিছু বর হয়। অনেক মেয়েদের সমস্যা দেখা দেয় যে লুব্রিকেশন হয়না বা সময়মত হয়না, যার ফলে সেক্স এনজয়ের বদলে পেইনফুল হয় ( পেইনফুল ইন্টারকোর্স)।বেশিরভাগ মেয়েরা সেটা তার হাসবেন্ড কে জানায় না নিজের অক্ষমতা মনে করে। কিনতু এখানে খোলামেলা কথা না বললে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ভাজাইনাল ড্রাইনেসের সবচে বরো কারনটা আসলে ছেলেদেরই দোষ। ইন্টারকোর্স ( ভাজিনাতে পেনিস প্রবেশে) এর পুর্বে যথেষ্ঠ স্টিমুলেশন ( যৈন উত্যেজনা ) না থাকলে লুব্রিকেশন সময় মতন হয় না। ইন্টারকোর্সের আগে যথেষ্ঠ সময় আর এটেনশন নিয়ে সেক্সয়াল স্টিমুলশন ( কিসিং, সাকিং ) করলেই বেশিরভাগ বেলায় এর সমাধান সম্ভব। ছেলেদের যেমন পেনিসে রক্তনালিতে ফেট ( চর্বি ) জমার কারনে ইমপোটেন্সি হয় তেমনি মেয়েদের বেলাতেও তেমনি ভাজাইনাল ব্লাড ভেসেলের ( রক্তনালিতে ) চর্বি জমলে এই সমস্যা হতে পারে। তাই ব্লাড ভেসেলের চর্বি কমানোর চেস্টা করতে হবে। ফেট কম খাওয়া, বেয়াম করা, সিগারেট না খাওয়া হল এর উপায়।
আর্টফিসিয়াল লুব্রিকেশন: এরপরেয় যদি এনাফ লুব্রিকশন না হয় এবং সেক্স পেইনফুল হয় তাহলে আর্টিসিয়াল লুব্রিকেশন ( নকল যোনিরস) ইউজ করা যায়। দেশের মেয়েরা সাধারনত তেল বা ভেসলিন ইউজ করে থাকে কিন্তু এতে সমস্যা হচছে যে বেশি ইউজ করলে ভাজাইনার নরমাল বেকটেরিয়াল ফ্লোরা ( শরিরের জন্য উপকারি বেকটেরিয়া ) নষ্ট হয় এবং তাতে ঘন ঘন ভাজাইনাল ইনফেকশন হতে পারে। এর জন্য স্শেপয়াল আর্টিফিসিয়াল লুব্রিকেশন পাওয়া যায় যা নাকি ঘন পানির মতন হয়। ( বাংলাদেশে আছে কিনা জানিনা )। যদি তেল বা ভেসেলিন ইউজ করা হয় তাহলে সেটা সেক্সের পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার (Cancer of the Penis)

পুরুষাঙ্গের ক্যান্সার খুব একটা পরিচিত রোগ নয় এবং আমাদের চারপাশে এমন রোগীর সংখ্যাও খুব কম। তবে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত শতকরা চল্লিশ ভাগ রোগীর বয়সই যেহেতু চল্লিশ বছরের নীচে তাই এর সম্পর্কে জেনে নেয়াটা সকল পুরুষের জন্যই জরুরী বলে মনে করা হয়।
                               
অনেক সময়ই রোগী বুঝতে পারেনা যে তার পুরুষাঙ্গের শীর্ষে (গ্লান্স পেনিস-Glans penis) যে ঘা টি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে তা একটি ক্যান্সার। এর একটা কারন এই যে এই ক্যান্সারের অধিকাংশ রোগীরই মুসলমানি বা খতনা করানো থাকেনা,তাছাড়া ঘা টিতেও কোনো ব্যথা বেদনা থাকেনা। গ্লান্স পেনিসেই শুধু ক্যান্সার হয়ে থাকে আর এমন একটি ঘা অনেক সময়ই গ্লান্স পেনিসে শুধু সাদা একটি দাগ হিসেবে শুরু হয়, অবশ্য কারো কারো ক্ষেত্রে এটা একটা উচু গোটার মতোও শুরু হতে পারে। রোগীর কোনো ব্যথা না থাকলেও এজন্য সে কিছুটা অস্বস্তিকর অনুভুতির শিকার হতে পারে, কারো কারো এই ক্ষত থেকে সামান্য ডিসচার্জ বা রস ও বের হতে পারে। তাই বেশীর ভাগ রোগীরাই এই ক্ষত’র প্রতি উদাসীন থাকে এবং এই সুযোগে ক্যান্সার টি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

কোনো কোনো সময় ক্যান্সারের এই ঘাটিতে ব্যাক্টেরিয়া আক্রমন করে থাকে, বিশেষ করে ঐ সময়টাতেই রোগীরা একে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। দেরী হয়ে গেলে এই রোগ বেশ ছড়িয়ে যায় এবং গ্লান্স পেনিস ফুলকপির মতো ফুলে উঠতে পারে, তা থেকে রক্তপাত ও হতে পারে, এ সময় কুচকিতেও সুপারির মতো শক্ত গোটা উঠতেও দেখা যায়। এই ক্যান্সার বৃদ্ধি পেতে পেতে যখন উরুর বা পেটের ভেতরের রক্তনালীকে সংক্রমিত করে ফেলে তখন অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাতের ফলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।



আগেই বলেছি এই ক্যান্সারের রোগীদের মধ্যে প্রায় কারোরই খাতনা করা থাকেনা তাই ক্যান্সারের ঘাটি দেখতে হলে শুরুতেই লিঙ্গের সমুখের বাড়তি চামড়া বা prepuceal skin কেটে নিতে হয়। এর পর ঘা থেকে বায়োপসি নিয়ে নিশ্চিত হতে হয় যে ক্যান্সার হয়েছে। একবার নিশ্চিত হওয়া গেলে সাথে সাথে এর চিকিৎসা শুরু করতে হয়। চিকিৎসার শুরুতেই রোগীকে খাতনা করিয়ে নিতে হয় এবং তার পর রেডিওথেরাপী দিতে হয়। শতকরা ৬০-৭০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রেই এই ক্যান্সার এতে সাড়া দেয়। রেডিওথেরাপী কাজ না করলে এবং শুধু গ্লান্স পেনিসে যদি এই ক্যান্সার টি বড় আকারে থেকে থাকে তাহলে পুরুষাঙ্গের মাথাটি কেটে ফেলতে হয়, তবে ক্যান্সার আরো ছড়িয়ে পরলে গোড়া থেকেই পুরুষাঙ্গটি কেটে ফেলে (Amputation of penis) দিতে হতে পারে।

এই প্রসঙ্গে একটি কথা বলে রাখা ভালো যে শৈশবের শুরুতে যাদের মুসলমানী বা খাতনা করা হয় তাদের এই ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা একবারে নেই বললেই চলে, তবে আরেকটু বড় হয়েও যারা খাতনা করায় তাদের মধ্যও এই ক্যান্সার হবার প্রবনতা বেশ কম।

বন্ধ্যতা (Infertility)


গর্ভধারণের অক্ষমতাকে বন্ধ্যতা বলা হলেও, এটির প্রচলিত বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা কিন্তু সেটি নয়। সাধারণভাবে ১২ মাস ধরে অবাধ যৌনসংগমের পরও যখন গর্ভসঞ্চার ঘটে না, তখন সেটিকে গর্ভ-ধারণ সমস্যা বা বন্ধ্যতা বলা হয়। গর্ভ-সঞ্চার হওয়ার পর সেটিকে পূর্ণাবস্থা পর্যন্ত ধরে রাখার অক্ষমতাও এই সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে। 
গর্ভধারণের ক্ষমতা বয়সের উপর নির্ভর করে। মেয়েরা ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে সহজে গর্ভবতী হতে পারে। ৩৫ বছর বয়সের পরে গর্ভধারণ ক্ষমতা দ্রুত কমতে সুরু করে এবং গর্ভ-বিপর্যয়ের (miscarriage) সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

গর্ভধারণের সমস্যা প্রায় ১৫ শতাংশ দম্পতির ক্ষেত্রেই ঘটে। ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই সমস্যার কারণ নারীর শারীরিক সমস্যা- নারীর ফ্যালোপিয়ান টিউব, গর্ভাশয় (uterus), কিংবা ডিম্বাশয়ের (overies) সমস্যা। ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সমস্যাটি পুরুষের - যার মধ্যে সবচেয়ে প্রধান হল বীর্যে শুক্রাণুর স্বল্পতা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেয়েদের বন্ধ্যতার কারণ তাঁরা নিজেরা যখন মাতৃগর্ভে ছিলেন - তখন তাঁদের মায়ের ধশি ওষুধ ব্যবহার। অনেক সময়ে বন্ধ্যতার সঠিক কারণ ডাক্তাররা খুঁজে পান না।
সন্তানলাভে ইচ্ছুক দম্পতিদের প্রথম জানা দরকার মাসের কোন দিনগুলিতে স্ত্রীর গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। স্ত্রীর বিশ্রামকালীন দেহের তাপমান বা উষ্ণতা মেপে এই সময়টা মোটামুটি বুঝতে পারা যায়। ডিম্বানু পূর্ণতা প্রাপ্ত হলে সেটি ডিম্বাশয় থেকে মুক্ত হয়ে জরায়ু বা গর্ভাশয়ের দিকে যায় (ovulation)। ডিম্বাণু গর্ভাশয়-মুক্ত হওয়ার একটু আগে দেহের তাপমান কমে যায়। তার ২৪ ঘণ্টা পরেই তাপমান দ্রুত বৃদ্ধি পায়। প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা ছাড়ার আগে যদি দেহের তাপমানের একটা চার্ট তৈরি করা যায়, তাহলে সেটি পরীক্ষা করে, কখন গর্ভসঞ্চার হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বা কম - সেটা নির্ধারণ করা সম্ভব। এর জন্য উষ্ণতা মাপার যে থার্মোমিটার ব্যবহার করা হয়, সেটিতে তাপমানের অল্প তারতম্যও ভালোভাবে দেখতে পাওয়া যায়। তাপমান সাধারণতঃ ০.৪ ডি ফারেহাইট (০.২ ডি সেণ্টিগ্রেড) থেকে ১ ডি ফারেনহাইট (০.৬ ডি সেণ্টিগ্রেড) বাড়ে। মেয়েদের ঋতুচক্রে এটি নিয়মিত ঘটে বলে দেহের তাপমাত্রা ঋতুচক্রের কোন সময়ে প্রথমে কমে তারপর বেড়ে যাচ্ছে জানা থাকলে গর্ভসঞ্চারের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় দিনগুলি বার করা সম্ভব। সাধারণভাবে ডিম্বাণু-মুক্তির ৫ দিন আগে থেকে ডিম্বাণু-মুক্তির দিন পর্যন্ত যৌনমিলনে গর্ভসঞ্চারের সম্ভাবনা বেশি থাকে। ( ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু মুক্ত হবার পর ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা তাজা অবস্থায় থাকে; পুরুষদের শুক্রাণুও ৩ থেকে ৫ দিন নারীদের জননেন্দ্রিয়র মধ্যে সজীব অবস্থায় থাকতে পারে। সেইজন্য ডিম্বাণু-মুক্তির দিন পাঁচেক আগে যৌনমিলন হলেও শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারে )|
এছাড়া অন্য উপায়েও সন্তান ধারণের জন্য সবচেয়ে অনুকূল সময়ে বার করা যায়। সাধারণভাবে মেয়েরা প্রতিমাসে ৫ দিন উর্বরা অবস্থায় থাকে। এই উর্বরা সময়টি হল ঋতুচক্র বা মাসিক সুরু হবার ১২ থেকে ১৬ দিন পর্যন্ত। যাদের ঋতুচক্র নিয়মিত, তাদের ক্ষেত্রেই শুধু এটা মোটামুটি ভাবে সত্য। ঋতুচক্র (অর্থাৎ মাসিক সুরু হবার দিন থেকে পরের মাসিক সুরু হবার দিন পর্যন্ত) সাধারণতঃ ২৮ দিনের হয়, আর ডিম্বাণু ডিম্বাশয়-মুক্ত হয় ঋতুচক্রের মাঝামাঝি। সেই থেকেই এই সময়ের হিসেবটা পাওয়া যায়। 
স্ত্রীর বয়স ৩৫ বছরের কম হলে, এক বছর চেষ্টা করার পরও যদি তাঁর গর্ভধারণ না হয়, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। ডাক্তাররা নানাভাবে এর চিকিৎসা করতে পারেন :

• ওষুধ দিয়ে যাতে ডিম্বাণুর ডিম্বাশয়-মুক্তি সহজে ঘটে 
• কৃত্রিম উপায়ে নারীদের গর্ভাশয়ে শুক্রাণু স্থাপন করা (artficial insemination)
• ফ্যালোপিয়ান টিউব-এর মধ্যে কোনো সমস্যা থাকলে সার্জারি করে সেটিকে ঠিক করা 
• পুরুষদের বীর্যে শুক্রাণু স্বল্পতা দূর করার চেষ্টা করা। ইত্যাদি।

এইসব প্রক্রিয়া কাজ না করলে, অনেকে ' ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন '-এর কথা চিন্তা করেন। এই পদ্ধতিতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু ল্যাবোরেটরিতে কৃত্রিম উপায়ে একসঙ্গে রেখে ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করা হয়। তারপর সেই নিষিক্ত ডিম্বাণুকে নারীর গর্ভাশয়ে স্থাপন করা হয়।
এইসব পরীক্ষা বা পদ্ধতি শারীরিক ও আর্থিক উভয় দিক থেকেই কষ্টসাধ্য হতে পারে। সুতরাং এ ব্যাপারে একটু চিন্তাভাবনা করে এগোনোই হবে যুক্তিযুক্ত।

সন্তানকে স্তন্যদানের উপকারিতা

অর্কাইভ্স অফ জেনারেল সাইকিয়াট্রির ২০০৮-এর মে সংখ্যায় ক্যানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির মাইকেল ক্রেমার ও তাঁর সহকর্মীরা একটি গবেষণা পত্রে বলেছেন যে, শিশুরা জন্মাবার পর থেকে তিন মাস বা তার অধিক সময়ে শুধু মায়ের দুধ খেয়ে বড় হলে, বেশি বুদ্ধিমান হয়। ৬ বছর বয়সে এইসব শিশুদের আই.কিউ (I.Q.*) বা বুদ্ধ্যাঙ্ক মেপে দেখা গিয়েছে যে, তারা অন্য শিশুদের থেকে ৬ পয়েণ্ট এগিয়ে আছে। এর আগেও এ ব্যাপারে কিছু কিছু অনুসন্ধান হয়েছে, তবে এতটা ব্যাপক ভাবে কোনও সমীক্ষা আগে করা হয় নি। মোটামুটি ভাবে আগেও মনে করা হত যে যারা শিশু অবস্থায় শুধু মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়েছে তাদের চিন্তাশক্তির ক্ষমতা, শেখার ক্ষমতা, স্মৃতিশক্তি, ইত্যাদি ফর্মুলা খেয়ে বড় হওয়া শিশুদের থেকে একটু বেশি।

কেন শুধু মায়ের স্তন্যপান করে বড় হলে চিন্তাশক্তি বাড়ে তার কারণ কিন্তু পরিষ্কার ভাবে বোঝা যায় নি। এর কারণ মায়ের দুধের কোনও বিশেষ অনুপানের জন্য না স্তন্যপান কালে মায়ের সান্নিধ্য শিশুর চিন্তাশক্তিকে উদ্দীপ্ত করছে - সে নিয়ে এখনও বিতর্ক আছে। কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ মনে করেন মায়ের দুধের কিছু পুষ্টিকারক বস্তু, যেমন কিছু অ্যামিনো অ্যাসিড, বাজারে কেনা ফর্মুলায় থাকে না। এই অ্যামিনো অ্যাসিডের মধ্যে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ডোকোসাহেক্সানোইক অ্যাসিড আছে - যেগুলো শিশুর মস্তিষ্ক-বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আমেরিকার শিশু-বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা অবশ্য নতুন মায়েদের স্তন্যদান করতে পরামর্শ দেন অন্য কারণে। মায়ের দুধ খেলে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং তাদের দেহের প্রতিরোধশক্তি বর্ধিত হয়। যেসব শিশু মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়, তাদের কানের অসুখ, পেটের অসুখ, অ্যালার্জি, ইত্যাদি বোতলে ফর্মুলা খাওয়া বাচ্চাদের থেকে কম হয়।

প্রসঙ্গতঃ সন্তান জন্মের কিছু আগে থেকেই নারীদের স্তনে দুধ সৃষ্টি হয়। প্রথম দিকের দুধকে কলোস্ট্রাম বলা হয়; পরে একটি অন্তর্বর্তী অবস্থার মধ্যে দিয়ে দুধটি একটি স্থায়ী প্রকৃতি নেয়। কলোস্ট্রাম শিশু জন্মাবার পর কয়েকদিন মাত্র থাকে। এটি দেখতে হলুদ এবং মাখনের মতো। এমনি দুধের থেকে অনেক ঘন। এটিতে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, ফ্যাটে দ্রবনীয় ভিটামিন, খনিজ এবং ইম্যুনোগ্লোবিন থাকে। ইম্যুনোগ্লোবিন হল অ্যাণ্টিবডি যেটা মা-র দেহ থেকে শিশু সন্তানদের মধ্যে যায় এবং শিশুকে নানান ভাইরাস ও বিজানুঘটিত রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধশক্তি দেয়। নতুন মায়েরা অনেক সময়ে এটি আসল দুধ নয় বলে সন্তানকে না দিয়ে ফেলে দেন, যেটা একেবারেই অনুচিত। সন্তানজন্মের দুচারদিন বাদে কলোস্ট্রাম তৈরি বন্ধ হয়ে যায় এবং অন্তর্বর্তীকালীন দুধের সৃষ্টি হয়। এটি সপ্তাহ দুয়েক থাকে। এই দুধে স্নেহপদার্থ, ল্যাকটোজ, জলে দ্রবনীয় ভিটামিন এবং কলোস্ট্রামের থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি ক্যালোরি থাকে। সপ্তাহদুয়েক পরে মাতৃস্তন্য তার স্থায়ী পরিণত অবস্থায় পৌঁছায়। পরিণত দুধের ৯০ শতাংশ হল জল। শিশুর জলের প্রয়োজন এই দুধ মেটায়। অন্য ১০ শতাংশ হল কার্বো-হাইড্রেট, প্রোটিন এবং স্নেহ পদার্থ।

ক্রেমার ও তাঁর সহযোগীরা তাঁদের গবেষণা করেছেন পূর্ব-ইউরোপের বেলারুস-এর মা ও শিশুদের নিয়ে। মোট ৭,১০৮ জন শিশু যদৃচ্ছাক্রমে বেছে (random sampling) তাদের তিনমাস ধরে শুধু মায়ের দুধ খেতে দেওয়া হয়েছিল। আর এদের সঙ্গে তুলনা করার জন্য আরও ৬,৭৮১টি শিশুকে মায়ের দুধের সঙ্গে অন্যান্য বিকল্প খাবার বা ফর্মুলা দেওয়া হয়েছিল।

এই শিশুদের বয়স যখন ৬.৫ বছর হয়, তখন এদের বুদ্ধি পরীক্ষা করে হয়। দেখা যায় যেসব শিশুরা শুধু মায়ের দুধ খেয়েছে তাদের মোট বুদ্ধ্যাঙ্ক গড়ে অন্যদের থেকে ৫.৯ পয়েণ্ট বেশি। এরমধ্যে তাদের verbal intelligence ** বা বাচনিক বুদ্ধি ৭.৫ পয়েণ্ট বেশি, non-verbal*** বা অবাচনিক বুদ্ধি ২.৯ পয়েণ্ট বেশি। এছাড়া এদের শিক্ষকদের মতে যারা শিশু অবস্থায় শুধু মায়ের দুধ খেয়ে বড় হয়েছে তারা অন্য শিশুদের তুলনায় পড়াশুনোয় ভালো (পড়া ও লেখা দুক্ষেত্রেই)। এই গবেষণার ফলাফল দেখে ক্রেমার ও তাঁর সহযোগীরা নতুন মায়েদের পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁদের শিশুদের অন্ততঃ তিনমাস শুধু স্তনদান করে বড় করতে - পারলে ছয়মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত স্তনদান করতে।

মায়ের দুধের এতো উপকারিতা সত্বেও এই দুধের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন ফর্মুলার প্রস্তুতকারকদের (বিশেষ করে ণএসতলস্ত-র) মার্কেটিং-এর দৌলতে শিশুদের মাতৃস্তন দিয়ে বড় করার স্বাভাবিক ব্যবস্থা দ্রুত গতিতে ভেঙ্গে যাচ্ছিল। প্রথমদিকে এগুলিকে ফর্মুলাকে শিশুদের পক্ষে আদর্শ বলে বিক্রি করা হত। হাসপাতালে এগুলিকে বিলিয়ে, বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে, স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্যে এগুলিকে বিক্রি করা হত। উন্নয়নশীল দেশগুলিতে যেখানে অনেক মায়েই অপুষ্টিতে ভুগছে, যার প্রভাব তাদের বুকের দুধেও থাকবে, সেখানে এই ধরণের আদর্শ বিকল্পের নিশ্চয় একটা আকর্ষণ ছিল। কিন্তু পরিস্রুত জলের অভাবে গুঁড়ো ফর্মুলা মিশিয়ে দুধের এই বিকল্প বহু শিশুর স্বাস্থ্যহানির কারণ হয়। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে WHO (ওযার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন) এবং UNICEF (ইউনাইটেড নেশন্স ইণ্টারন্যাশেনাল চিল্ড্রেন্স এমার্জেন্সি ফাণ্ড) ইউনাইটেড ষ্টেটস এজেন্সি ফর ইণ্টারন্যাশেনাল ডেভালপমেণ্ট এবং সুইডিশ ইণ্টারন্যাশেনাল ডেভালপেমণ্ট অথরিটির সঙ্গে একযোগে একটি ঘোষণা (Innocenti Declaration) জারি করেন। এতে বলা হয় মায়েদের স্তন্যদান একটি অদ্বিতীয় পদ্ধতি যেটি শিশুদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায় এবং অসুখবিশুখ এড়িয়ে তাদের সুস্থ ভাবে বড় হতে সাহায্য করে। এছাড়া, স্তন্যদান মায়েদের স্তন এবং ওভারিয়ান ক্যানসারের হবার সম্ভাবনা কমায়; পরপর দুটি গর্ভধারণের অন্তর্বর্তীকাল বৃদ্ধি করে; সামাজিক এবং আর্থিক দিক থেকে এটি বাঞ্ছনীয়। এই উপকারিতাগুলো বৃদ্ধি পায় যদি জন্মের ছয়মাস পর্যন্ত শিশুদের শুধু মায়ের দুধ খাইয়ে বড় করা হয়।

এই ঘোষণায় বিভিন্ন দেশকে স্তন্যদান করার সংস্কৃতিকে উৎসাহ দিতে অহবান জানানো হয়। মায়েরা যাতে বাধাহীন ভাবে সন্তানকে স্তন্যদান করতে পারেন তারজন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ বিশ্বের দেশগুলিকে সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়া মায়ের দুধের বিকল্প হিসেবে যেসব কোম্পানি বিজ্ঞাপন দিচ্ছে তারা যাতে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপনের উপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে - সেগুলি যেন মেনে চলা হয় - সেটা দেখতে হবে। এই নিষেধাজ্ঞাতে বিকল্প ফর্মুলা প্রস্তুতকারকদের সোজাসুজি জনসাধারণকে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মারফতে তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া বা সেটির ফ্রি স্যাম্প্ল ইত্যাদি দেওয়া চলবে না বলা হয়েছে। তবে এখনও এই নিষেধাজ্ঞা বিকল্প দুধের প্রস্তুতকারকরা সব সময়ে মানছে না। তার প্রতিবাদে 'বয়কট' ও নানা আন্দোলনের কথা এখনও পত্রপত্রিকায় দেখা যায়।

জরায়ু-মুখ ক্যান্সার

জরায়ু বা বাচ্চাদানির সবচেয়ে নিচের অংশ হলো জরায়ু মুখ যা প্রসবের পথ বা যোনিতে গিয়ে মিশেছে, জরায়ুর বিভিন্ন অংশের মধ্যে এই অংশে ক্যন্সার এর আশংকা সবচেয়ে বেশি। অতিরিক্ত সাদাস্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, অতিরিক্ত অথবা অনিয়মিত রক্তস্রাব, সহবাসের পর রক্তপাত, মাসিক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবার পর পুনরায় রক্তপাত, কোমড়-তলপেট বা উড়ুতে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গগুলো জরায়ু মুখ ক্যান্সার এর লক্ষন।

অল্পবয়সেই যারা যৌনাচারে অভ্যস্ত হয়ে থাকে তাদের এই ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী। একাধিক পুরুষ সঙ্গী থাকা, বা পুরুষ সঙ্গীটির একাধিক নারী সঙ্গী থাকা কিংবা ঘন ঘন বাচ্চা নেয়া ইত্যাদি কারনেও জরায়ূ মুখ ক্যান্সার হতে পারে। বাল্য বিবাহ হওয়া মেয়েদের এই রোগ হবার সম্ভাবনা বেশী।



একদিন বা একমাসে হঠাৎ করে এই ক্যান্সার হয়না স্বাভাবিক কোষ থেকে জরায়ু মুখের ক্যান্সার হতে প্রায় ১০-১৫ বছর সময় লাগে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে চিকিৎসার দ্বারা শতকরা ১০০ ভাগ রোগীই ভালোহয়ে যেতে পারে। রোগের শুরুতে উপসর্গ গুলো অল্পমাত্রায় থাকে দেখে একে কেউ গুরুত্ব দিতে চান না। এজন্য রোগীদের পক্ষে অনেক সময়ই প্রাথমিক পর্যায়ে আসা সম্ভব হয়না। দেরীতে আসলে রোগটি ছড়িয়ে পরে তখন জীবন বাঁচাতে বড় ধরনের অপারেশন এবং রেডিওথেরাপীর (Radiotherapy) প্রয়োজন হয় কিন্ত তাতেও পূর্ণ নিরাময় সম্ভব হয়না।



নিয়মিত পরীক্ষা করানোর মাধ্যমে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে যে সকল মহিলার বয়স ৩০ এর বেশী (বাল্য বিবাহ হলে ২৫ এর বেশী) তাদের প্রতি তিন বছর পর পর স্ত্রী রোগ চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মী দ্বারা জরায়ু মুখ পরীক্ষা করানো উচিত। ভায়া -VIA (Visual Inspection of Cervix with Acetic acid), প্যাপ স্মেয়ার (PAP smear) ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের প্রাথমিক পর্যায়েই রোগটি সনাক্ত করা সম্ভব।

স্তন বোটার প্যাজেটস রোগ



  










  অনেক সময় স্তনে ক্যান্সার হলে এর বোটা বা নিপল এ পাঁচড়ার মতো একধরনের ঘা হয়। একজিমা হিসেবে দীর্ঘদিন এর চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া হলেও তা নিপল বা এর চারপাশের গাঢ় বর্নের ত্বক (Areola) থেকে সেরে যায়না। একসময় নিপল এর ক্ষত (Erosion of nipple) বাড়তে থাকে এবং তা স্তনের গা থেকে খুলে পরে যায় (disappear) । ঐ একজিমা যে স্তন ক্যান্সার এর কারনে হচ্ছিল তখন সেটাও পরিস্কার হয়ে উঠে। তাই স্তনের বোটায় কখনো একজিমা হয়েছে সন্দেহ হলে অবশ্যই তার বায়োপসি করিয়ে দেখা উচিত অন্যথায় তা রোগীর জীবন বিপন্ন করে তুলতে পারে।

স্তন টিউমার


১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সের মেয়েদের পরিণত স্তনে গোটা উঠার মতো যে 

ফাইব্রোএডেনোমাটিউমার হয় তা সাধারনত ফাইব্রোএডেনোমা। এটা খারাপ কোনো টিউমার বা ক্যান্সার নয়। একে স্তনের নিরীহ টিউমার (Benign breast tumour) বলা হয়। সাধারণত এই টিউমারটি ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হয় এবং খুব কম ক্ষেত্রেই তা ৫ সে.মি অতিক্রম করে। এটি ২৫ উর্ধ্ব মহিলাদের ও হতে পারে, তাই স্তনে কোনো টিউমার হলে আগেই জেনে নেয়া ভালো এটা ক্যান্সার না ফাইব্রোএডেনোমা।

ফাইব্রোএডেনোমার হলে এর জন্য কোনো চিকিৎসা নেবার প্রয়োজন হয়না। একবার বায়োপসি করে শুধুনিশ্চিত হতে হয় যে এটা ক্যান্সার জাতীয় কোনো টিউমার নয়। তবে কেউ যদি অস্বস্তি বোধ করে অথবাকারো মনে সন্দেহের বীজ যদি তাকে অস্থির করে তোলে তাহলে কসমেটিক সার্জন দিয়ে এটি অপারেশন (Enucleation)করিয়ে নেয়াই ভালো। বয়োসন্ধির সময় অনেক ফাইব্রোএডেনোমা খুব দ্রুত বাড়তে থাকে এবং ৫ সে.মি’র চেয়ে বড় হয়েযেতে পারে। এই পরিস্থিতিতেও অপারেশন করিয়ে অস্বস্তির হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যেতে পারে।

স্তনের ক্যান্সার


উন্নত বিশ্বে মধ্য বয়স্ক মহিলাদের মৃত্যুর প্রধান কারন হলো স্তন ক্যান্সার। অনুন্নত বিশ্বেও এই হার আশংকাজনক। যুক্তরাজ্যে প্রতি ১২ জন মহিলার ১ জন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। ২০ বছর বয়সের নীচের মহিলাদের এই ক্যান্সার হয়না বললেই চলে। পুরুষদেরও স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুবই কম (০.৫%)।           

উন্নত বিশ্বের আধুনিক খাদ্যাভ্যাস নাগরিকদের অনেক সমস্যায় ফেলে, স্তন ক্যান্সার সেই খাদ্যাভ্যাসের কারনেই পশ্চিমা বিশ্বে বেশী দেখা যায় বলে ধরা হয়।বলে রাখা ভালো জাপান উন্নত বিশ্বের তালিকায় পরলেও সেখানে স্তন ক্যান্সার কিন্ত ইউরোপ আমেরিকার মতো অতো বেশী নয়। তবে যেকোনো দেশেই অতিরিক্ত মদ্যপায়ীদের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার হার যে অনেক বেশী এটা এখন একটা পরীক্ষিত সত্য। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে সকল মা তাদের সন্তান কে নিয়মিত স্তন্য পান করিয়েছেন তাদের স্তন ক্যান্সার হবার হার তুলনামুলক হারে অনেক কম, তেমনি যে সকল মা কম বয়সে বাচ্চা নিয়েছেন এবং যেসকল মহিলার মাসিক একটু দেরিতে শুরু হয়েছে (Late menarche) এবং আগে বন্ধ হয়ে গেছে (Early menopause) তাদের মধ্যেও এই হার বেশ কম। অন্য দিকে যে সকল মহিলা একটিও সন্তান নেননি অথবা যারা men

opause এর পরে স্থুলকায় (Obese) হয়ে গেছেন তাদের এই ক্যান্সার হবার হার তুলনামুলক হারে বেশী।

সমীক্ষা যাই বলুক না কেন ৩০ বছরের পরে যে কোনো মহিলারই নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করে দেখা উচিত তার স্তনে গোটার মতো কিছু পাওয়া যায় কিনা। এই জন্য আয়না (Mirror) এর সামনে দুই বুক খুলে দাঁড়িয়ে নিজে নিজেই তা ভালো করে চেপে পরীক্ষা করে দেখা উচিত এবং সন্দেহ জনক কিছু পাওয়া গেলে সাথে সাথে Breast surgeonএর সাথে যোগাযোগ করা উচিত। এই পরিস্থিতিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম বা ম্যামোগ্রাম পরীক্ষা করিয়ে স্তন এ টিউমার আছে কিনা তা নিশ্চিত করা উচিত। টিউমার থাকলে তা ক্যান্সার না নিরীহ শ্রেনীর তা ১০০% নিশ্চিত করতে অবশ্যই বায়োপসি করে হিস্টপ্যাথলজি করতে হবে।

শুরুতে স্তন ক্যান্সার একটা ছোট্ট দানার মতো হাতে লাগতে পারে তবে অনেক সময় তা হাতে নাও লাগতে পারে। অনেক সময় এই রোগে স্তনের বোটা বা নিপ্যল (Nipple) কিছুটা ভিতরের দিকে ঢুকে যায় (Nipple retraction), কারো কারো আবার টিউমারের ঠিক উপড়ের স্তনের ত্বক কমলার খোসার মতো ছিদ্র ছিদ্র আকার ধারন করে (Peau d’orange)। এসব চিহ্ন স্তন ক্যান্সার যে বেশ অগ্রবর্তী পর্যায়ে চলে গেছে তা নির্দেশ করে। তবে এই ক্যান্সার অগ্রবর্তী হলে গোটার মতো টিউমারটি বুকের মাংসপেশীর সাথে লেগে যায় এবং বুকে ব্যথা করতে থাকে সেই সাথে বগলের লসিকা গ্রন্থিগুলো (Lymph node) ফুলে বড় হয়ে উঠতে থাকে। রোগের এক পর্যায়ে রোগীর স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়, তিনি দ্রুত ওজন হারাতে থাকেন,সেই সাথে ক্ষুদামন্দা, বমি বমি ভাব, ফুসফুসে পানি জমে শ্বাস কষ্ট, লিভার আক্রান্ত হয়ে পেটে পানি জমা এই সমস্যা গুলোও একে একে যোগ হতে থাকে।



জেনে রাখা ভালো যেদিন প্রথম স্তন ক্যান্সার ধরা পরলো সেদিন সম্ভবত তা সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পরেছে। স্তন ক্যান্সার খুব দ্রুত হারে সমস্ত শরীরে ছড়িয়ে পরতে পারে, তাই রোগের সন্দেহ হবার পরপরই এর চিকিৎসা শুরু করা উচিত। এমন কোনো অসুধ এখনো আবিস্কৃত হয়নি যা স্তন ক্যান্সার কে পুরোপুরি ভালো করে দিতে পারে, তবে বিভিন্ন মডালিটির চিকিৎসা একই সাথে চালিয়ে গেলে এই রোগ নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্যান্সার ধরা পরার পরপরই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন রোগীকে একই সাথে কিংবা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে কেমোথেরাপি / রেডিওথেরাপি (নিওএডজুভেন্ট থেরাপি) শুরু করে প্রথমেই রোগটিকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেন। এরপর অবস্থা বুঝে অপারেশন করে টিউমার আক্রান্ত পুরো স্তন (Mastectomy) এবং সেইসাথে বগলের লিম্ফ গ্রন্থি ফেলে দেয়া হয়। এর পরে রোগীকে নির্দিষ্ট মাত্রার রেডিওথেরাপি এবং কেমোথেরাপি দিয়ে রোগীর দেহ থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত সকল কোষ মেরে ফেলার পদক্ষেপ নেয়া হয়। তবে চিকিৎসার এই পদক্ষেপ গুলো নির্ভর করে রোগী ক্যান্সার এর কোন পর্যায়ে চিকিৎসক এর কাছে এসেছে তার উপর। বেশী দেরি করে আসলে এর কার্যকরী চিকিৎসার সুযোগ একদমই কমে আসে।

স্তন ক্যান্সার এর কেমোথেরাপি তে টেমোক্সিফেন, সাইক্লোফসফামাইড, টেক্সেডিওল, ক্যাপাসিটাবিওন, এনস্ট্রাজল ইত্যাদিবিভিন্ন ধরনের হরমোন বা বিষ জাতীয় অসুধ বিভিন্ন মাত্রায় ব্যবহার করা হয়। এসব নির্ভর করে রোগীর কোন ধরনেরক্যান্সার হয়েছে এবং সেই ক্যান্সার কোষের স্পর্শকাতরতার উপর। এসব অসুধ বেশ ব্যয়বহুল এবং এদের কার্যকারিতাএবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও ভিন্ন ভিন্ন বটে, তাই সব রোগীকে একই ধরনের অসুধ দেয়া সম্ভব হয়না। তাই রোগীর উচিতচিকিৎসার শুরুতেই এসব ব্যাপারে খোলামনে তার চিকিৎসক এর সাথে আলাপ করে নেয়া।

পরিবারে মা, খালা, ফুপু, বড় বোন এমন কারো স্তন ক্যান্সার থেকে থাকলে অন্য সদস্যদেরক্যান্সার হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে, তাই এসব ক্ষেত্রে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করাউচিত। এসব পরিবারের সদস্যাদের অল্প বয়স থেকেই নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করানো উচিত এবংদীর্ঘায়ু হবার লক্ষে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ার সাথে সাথেই স্তনের অপারেশন সহ অন্য চিকিৎসাপদ্ধতিগুলো দ্রুত গ্রহন করা উচিত।

স্তন ক্যান্সার হবার পরে অপারেশন করানো এবং কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি নেবার পরও রোগী পুরোপুরি মৃত্যুর ঝুকিথেকে মুক্ত হয়ে যায়না যদিও সব ধরনের উপসর্গ থেকে তিনি মুক্ত থাকতে পারেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে সাধারনত রোগেরযে সকল অবস্থায় বা স্টেজ (stage II/III) এ রোগীরা চিকিৎসক এর কাছে আসেন তার পুর্নাঙ্গ চিকিৎসা করা হলেও রোগীর৫ বছর বেচে থাকার সম্ভাবনা থাকে শতকরা ৫০ থেকে ৭০ ভাগ। খুব প্রাথমিক অবস্থায় বা স্টেজ (stage I) এ আসলে এটাবেড়ে ৮৫% পর্যন্ত হতে পারে তেমনি খুব শেষ পর্যায় (stage IV) এ আসলে ৫ বছর বাচার সম্ভাবনা কমে গিয়ে থাকে মাত্র২৫%।

তাই পরিশেষে এই বলতে হয় স্তন ক্যান্সার বেশ খারাপ ধরনের একটি রোগ, এ রোগ হওয়া অর্থ মৃত্যু ঘনিয়ে আসা, তবেকেউ যদি খুব প্রাথমিক পর্যায়ে এই রাগের চিকিৎসা নিতে পারেন তার দীর্ঘায়ু হবার সম্ভাবনা খুব প্রবল। তাই প্রত্যেকপরিণত মহিলার উচিত নিয়মিত স্তন পরীক্ষা করে দেখা এবং কোনো প্রকার সন্দেহ হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

স্তনের বোটা ভেতরে ঢুকে যাওয়া

বয়োসন্ধিতে স্তনের পরিপূর্ণতা ও বৃদ্ধির সময় অনেক মেয়ের স্তনের বোটা (Nipple) স্তনের ভিতরের দিকে ঢুকে যায়। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই শুধু একপাশের স্তন এই ধরনের সমস্যায় পরে। এর জন্য বিশেষ কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। সাধারণত গর্ভধারন অথবা দুগ্ধদানের সময় নিজে নিজেই এই সমস্যা ভালো হয়ে যায়। যদি দুগ্ধদানের সময় এই সমস্যা ভালো না হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তা শিশুকে দুগ্ধদানে বাধা সৃষ্টি করে। একধরনের মেকানিকাল সাকশন ডিভাইস ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যেতে পারে। তাতেও কাজ না হলে কসমেটিক সার্জারির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব কিন্ত এতে অনেক সময় স্তনের ডাক্ট কেটে যেতে পারে এবং তখন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।

পরিণত বয়সে নতুন করে কারো স্তনের বোটা ভিতরে ঢুকে যাওয়া স্তনের আভ্যন্তরিন জটিল কোনো সমস্যা নির্দেশ করে থাকে। ডাক্ট এক্টেশিয়া, মাসটাইটিস বা টিউমার হলে এমনটি হতে পারে। অনেক সময় ক্যান্সার হলেও নতুন করে স্বাভাবিক স্তনের বোটা ভিতরের দিকে ঢুকে যেতে পারে। তাই পরিণত বয়সে নতুন করে এই সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হতে হবে।

কিশোরীর স্তন বিশাল বড় হয়ে যাওয়া



মেয়েদের মাসিক ঋতুচক্র (Menstrual cycle) এমন যে এতে এমন কিছু দিন আছে যা নিরাপদ দিবস (Safe period)হিসেবে ধরা হয়। এই দিবস গুলোতে স্বামী-স্ত্রীর অবাধ মিলনের (Sexual act) ফলে স্ত্রীর সন্তান সম্ভবা হবার সম্ভাবনাথাকেনা। যেহেতু এই পদ্ধতিটি প্রকৃতিগত ভাবেই নির্দিষ্ট করা তাই একে প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বলা হয়। অনেক সময় একে ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলা হয়।

এ পদ্ধতি কার্যকর করতে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আপনার স্ত্রীর ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোন গুলো। এজন্য সবার আগে জানা চাই তার মাসিক নিয়মিত হয় কিনা, হলে তা কতদিন পরপর হয়। এবার সবচেয়ে কম যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ঐ দিনটিই হলো প্রথম অনিরাদ দিন। আবার আপনার স্ত্রীর সবচেয়ে বেশী যতদিন পরপর মাসিক হয় তা থেকে ১০ দিন বাদ দিন, মাসিক শুরুর ১ম দিন থেকে ঐ দিনটিই হলো শেষ অনিরাদ দিন।

ধরুন আপনার স্ত্রীর মাসিক ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হয়। তাহলে ২৮-১৮=১০, অর্থাৎ মাসিকের শুরুর পর থেকে প্রথম ৯ দিন আপনার জন্য নিরাপদ দিবস, এই দিন গুলোতে অন্য কোনো পদ্ধতি ছাড়াই সঙ্গম করা যাবে। ১০ম দিন থেকে অনিরাপদ দিবস, তাই ১০ম দিন থেকে সঙ্গমে সংযম আনতে হবে। আবার যেহেতু ৩০ দিন হলো দীর্ঘতম মাসিক চক্র তাই ৩০-১০=২০, অর্থাৎ ২০তম দিন আপনার জন্য শেষ অনিরাপদ দিবস। ২১ তম দিবস থেকে আপনি আবার অবাধ সঙ্গম করতে পারবেন। এর অর্থ এই উদাহরনে শুধু ১০ম থেকে ২০ম দিবস পর্যন্ত আপনি অবাধ সঙ্গম করলে আপনার স্ত্রীর গর্ভধারন করার সম্ভাবনা আছে। তবে এই দিবস গুলোতে কনডম (Condom) ব্যবহার করে আপনারা অতি সহজেই ঝুকিমুক্ত থাকতে পারেন।

জেনে রাখা ভালো অনিয়মিতভাবে মাসিক হবার ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি কার্যকর নয়। তবে কারো যদি হিসাব রাখতে সমস্যা হয় তবে সহজ করার জন্য বলা যায় মাসিক শুরুর পর ১ম ৭ দিন এবং মাসিক শুরুর আগের ৭ দিন অবাধ সঙ্গম করা নিরাপদ।

প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রন ৮০% নিরাপদ, বা এর সাফল্যের হার শতকরা ৮০ ভাগ। সাধারনত হিসেবে গন্ডগোল করে ফেলা,অনিরাপদ দিবসেও সূযোগ নেয়া বা ঝুকি নেয়া, অনিয়মিত মাসিক হওয়া এসব কারনে এই পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে। তাই সঠিক হিসেব জেনে নেবার জন্য ১ম বার চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কিছু পুরুষের শুক্রানুর আয়ু বেশী হওয়ার কারনে তারা এটায় সফল নাও হতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে অনিরাপদ দিবস ২ দিন বাড়িয়ে নেবার প্রয়োজন হতে পারে। অনেকে এটা Programmed sex বলে একে ঝামেলাপুর্ণ মনে করেন, কিন্ত একবার এতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটা বেশ সহজ, আরামদায়ক এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন।

ঋতুচক্রে স্তনে ব্যথা

অনেক মেয়েরাই ঋতুচক্রের সময় তাদের স্তনে তীব্র ব্যথা অনুভব করে। একে মাস্টালজিয়া বলা হয়। এ ধরনের ব্যথার কারনে তার স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অনেক সময় অচল হয়ে পরে, মেয়েটি নিদ্রাহীনতায় ভোগে এবং তার স্বাভাবিক যৌন জীবনও ব্যহত হয়। মাস্টালজিয়া এসব মেয়েদের মনে তীব্র ভীতির সঞ্চার করে থাকে।

অনেক মেয়েই ধারনা করে যে স্তনের এই ব্যথা বুঝিবা স্তন ক্যান্সার এর কারনে হয়; কিন্ত তাদের এই ধারনা একদমই ঠিক নয়।ঋতুচক্র বা মাসিকের সময় ইসট্রোজেন হরমোনের প্রতি তাদের স্তনের বাড়তি স্পর্শকাতরতার কারনেই অনেক সময় এই সমস্যাটির সৃষ্টি হয়। স্তন ক্যান্সার বা অন্য কোনো জটিল রোগে এমন ব্যথা হবার কোনোই সুযোগ নেই।

কারো মাস্টালজিয়া হচ্ছে চিন্তা করলে চিকিৎসক (ব্রেস্ট সার্জন) এর পরামর্শ নেয়া উচিত। এই সময় মেয়েটিকে সারাদিন একদম সঠিক মাপের (Appropriately fitting) একটি ব্রা (Supportive bra) পরে থাকতে হয় এবং রাতের বেলা একটি তুলতুলে নরম ব্রা (Sports bra) পরে থাকতে হয়। এসময় কফি পান করলে ব্যথার তীব্রতা বাড়তে পারে তাই এই সকল পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।

চিকিৎসক শুরুতেই জানতে চাইতে পারেন মাসের ঠিক কয়দিন এবং কি মাত্রায় এই ব্যথা থাকে। তাই ভুক্তভোগীকে অবশ্যই এর সঠিক বর্ণনা দিতে হবে। প্রথমেই মনে রাখতে হবে এটা কোনো রোগ নয়, শুধু একটি উপসর্গ, এজন্য স্তন বা মেয়েটি কারোরই কোনো ক্ষতি হচ্ছেনা। ব্যথার স্থায়ী নিবারনের জন্য চিকিৎসকগন অয়েল অব ইভিনিং প্রিম্রোজ নামক একধরনের অসুধ তিন মাসের জন্য সেবন করার উপদেশ দিয়ে থাকেন এবং এতে ৩৫ উর্ধ্ব বেশীর ভাগ মহিলাই ভালো অনুভব করেন। যাদের খুব তীব্র ব্যথা থাকে তাদের ইস্ট্রোজেন বিরোধী অসুধ যেমন ডানাজল বা টেমোক্সিফেন অথবা প্রলাকটিন বিরোধী ব্রোমোক্রিপটিন বা এল,এইচ,আর,এইচ এগোনিস্ট সেবন করার পরামর্শ দেয়া হয়।

যাদের স্তনের ব্যথা ঋতুচক্রের সাথে সম্পর্কিত নয় তাদের চিকিৎসা কিন্ত ভিন্ন। এসব মহিলার ক্ষেত্রে প্রথমেই জেনে নিতে হবে এটা সত্যি সত্যিই স্তনের ব্যথা না বুকের মাংশ পেশী বা অন্য কোথাও এর উৎস। যদি সত্যিই স্তনের ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই স্তন বায়োপসি করে নিশ্চিত হতে হবে যে তার স্তন ক্যান্সার হয়নি। এটা নিশ্চিত করতে পারলে এসব ক্ষেত্রে ব্যথানাশক অসুধ সেবন অথবা ব্যথার স্থানে অবশ করা ইঞ্জেকশন ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া যেতে পারে।

Blog Archive

Recent Posts

Categories

Unordered List

Sample Text

Pages