নারীর খাদ্য ও স্তন ক্যান্সার



বয়স বাড়ার সাথে সাথে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্তন ক্যান্সারের একটি সুবিধাজনক দিক হলো প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে রোগ সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তোলা যায়। তারপরও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের ব্যাপারে নারীদের সচেতন হতে হবে। বেশির ভাগ অসুখের মূলে রয়েছে খাওয়া দাওয়া। জানা যায়, অতিরিক্ত ফ্যাট বা চর্বিযুক্ত খাবার স্তন ক্যান্সারের জন্য দায়ী। স্তন ক্যান্সার আমেরিকা ও ব্রিটেনের মহিলাদের সবচেয়ে বেশি হয়। আর এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জাপান ও চীনে স্তন ক্যান্সার সবচেয়ে কম হয়। চীনা খাবারে রসুনের ব্যবহার শরীরে যেকোনো টিউমার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমেরিকা ও ব্রিটেনের খাদ্য তালিকায় হাই প্রোটিন, প্রসেসড ফুড বা প্রক্রিয়াজাত খাবার, ফাস্টফুড ইত্যাদির পরিমাণই বেশি।

সাম্প্রতিক নানা গবেষণায় এ কথা প্রমাণ হয়েছে যে, ক্যান্সার প্রতিরোধে টাটকা শাকসবজি ও রঙ্গিন ফলমূলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অ্যারামোটেজ নামের একটি জৈব রাসায়ণিক পদার্থ রজঃনিবৃত্তির পরে নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। অ্যারোমোটেজ শরীরে বিপাক ক্রিয়ার ফলে তৈরি হয়। আর আঙ্গুর খেলে অ্যারোমোটেজের পরিমাণ কমে যায়। বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন যে, আঙ্গুরের রসে, বিশেষত কালো আঙ্গুরের খোসার নিচে থাকা রিজারভাটেরল যেকোনো ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। রিজারভাটেরল স্তন ক্যান্সারের উদ্দীপক অ্যারামোটেজ ধ্বংস করে দেয়। সবুজ শাক সবজি, রঙ্গিন ফল, ফাইবার বা আঁশযুক্ত সবজি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। আমাদের দেশী রান্নায় ব্যবহূত হলুদ, রসুন, ধনে, জিরা এগুলোও ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে, নিত্যদিনের রান্নায় এসব মসলা ব্যবহূত হচ্ছে বলে বেশ সুবিধা। কিন্তু নারীদের শাক সবজির পাশাপাশি নিয়মিত ফল খেতে হবে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পাঁচ রকম শাক সবজি ও পাঁচ রকম ফল থাকা প্রয়োজন। নারীদের নিজেদের পরিবারের ব্যাপারে যত্নবান হওয়ার সাথে সাথে নিজের প্রতিও যত্নবান হতে হবে ও স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে হবে

undefined undefined undefined

0 comments:

Post a Comment

Blog Archive

Recent Posts

Categories

Unordered List

Sample Text

Pages