প্রতিদিন ৩ টি কলা


লন্ডন, ১৯ জানুয়ারি: কলা আমাদের দেশের সবচেয়ে সহজলভ্য ফল। আর এই সহজলভ্য ফল নিয়েই এবার একটি নতুন গবেষণা প্রতিবেদন বের হলো। যেখানে সব বয়সের মানুষকেই বৃটিশ এবং ইতালিয়ান গবেষকরা দিনে অন্তত তিনটি করে কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। খবর ডেইলি মেইল’র।



গবেষকরা জানান, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করতে দেহে পটাসিয়ামের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও দেহে পটাসিয়ামের আদর্শ উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে কমে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকিও। আর এই উপকারী পটাসিয়াম কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে। গবেষকরা দেখেছেন, একটি কলায় প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। আর মানবদেহে প্রতিদিন ১৬০০ মিলিগ্রাওম পটাসিয়ামের যোগান দেয়া গেলেই স্ট্রোকের হাত থেকে বছরে বেঁচে যেতে পারে ১০ লাখ মানুষ।

গবেষকদের পরামর্শ অনুযায়ী, সকালের নাস্তায়, দুপুরে খাবারের পর এবং সন্ধ্যা চা কিংবা ভাজা-পোড়া খাবারের বদলে একটি করে কলা খেলে দেহে পটাসিয়ামের কোনো ঘাটতি থাকবে না। আর দেহে পটাসিয়ামের ঘাটতি না থাকলে স্ট্রোকের শিকার হয়ে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে প্রাণ হারাতে হবে না কাউকে।

ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইক এবং ইউনিভার্সিটি অফ নেপলস’র গবেষকদের সম্মেলিত প্রচেষ্টায় এই কলার এই বিশেষ গুণটি প্রকাশ পেয়েছে। এই গবেষকরা বৃটেনের কয়েকটি হাসপাতালের ১৯৬০ থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত সব হেলথ রেকর্ড পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা স্ট্রোকের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের রিপোর্ট নিয়ে গবেষণা চালান।

তারা দেখ পান, যারা স্ট্রোকের শিকার হয়ে মারা গেছেন এবং যারা কোমায় ‍গেছেন তাদের সবার দেহেই পটাসিয়ামের প্রচুর ঘাটতি ছিল। তাই সেই পটাসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্যই গবেষকেরা দিনে অন্ত তিনটি করে কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

কলা ছাড়াও আরো যেসব খাবারে পটাসিয়ামের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি রয়েছে সেগুলো হলো- বাদাম, দুধ, মাছ, সবুজ শাক এবং ডাল। তবে, এতো কিছুর শরণাপন্ন না হয়ে যদি দিনে অন্তত তিনটি কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা যায় তাহলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে, স্বাভাবিক থাকবে রক্তপ্রবাহও এবং স্টোকের ঝুঁকিও কমে যাবে অনেকাংশে।

বৃটিশ ও ইতালিয়ান গবেষকদের এই গবেষণা প্রতিবেদনটি আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজিও’র একটি জার্নালে প্রকাশ পাবে।

0 comments:

Post a Comment

Blog Archive

Recent Posts

Categories

Unordered List

Sample Text

Pages